বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ কালোজামের রেসিপি

উপকরণঃ
১. ছানা ১ কাপ
২. মাওয়া আধা কাপ
৩. ময়দা আধা কাপ
৪. ঘি ২ টেবিল চামচ
৫. গুঁড়া চিনি ১ টেবিল চামচ
৬. খাওয়ার সোডা সামান্য
৭. লাল রং সামান্য


Share/Bookmark

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১

সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাঃ অনলাইনে কেনাকাটায় সাবধান হোন

আমরা যারা প্রবাসে আছি, সবারই দেশে কথা বলার জন্য কোন না কোন VOIP প্রোভাইডারের কাছে থেকে ক্রেডিট কিনে কথা বলতে হয়। সবাই হন্যে হয়ে খোঁজ করেন কোথায় পাওয়া যাবে সস্তায় মানসম্পন্নভাবে দেশে কথা বলার সুবিধা। তবে প্রায় সব দেশেই বসবাসরত বাংলাদেশীদের নিজস্ব কিছু ব্যবস্থা থাকে, ফলে যোগাযোগ সহজ হয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের। বিশ্বস্ততাও কাজ করে, বিশেষত অনেক সময় জরুরী প্রয়োজনে টাকা না দিয়েও ক্রেডিট কেনা যায়, পরে টাকা দিলেও হয়। জাপানে আমার প্রবাস জীবন শুরু ২০০৮ থেকে। প্রথম থেকেই রিঙ২ফোন এর কার্ড কিনতাম, বাংলাদেশে ১২-১৩ঘন্টা কথা বলা যেত ২০০০ইয়েনের কার্ড কিনে, পিসি টু ফোন সিস্টেম।

Share/Bookmark

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ ঝটপট ফুচকার রেসিপি

যা যা লাগবেঃ
☞ ময়দা ২ কাপ,
☞ সুজি আধাকাপ,
☞ তালমাখনা ১ চা চাঃ
☞ লবণ পরিমাণমতো,
☞ ডাবলি ছোলা সেদ্ধ পরিমাণমতো,
☞ আলু সেদ্ধ পরিমাণমতো
☞ পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমতো,
☞ লেবু রস,
☞ শশা কুচি পরিমাণমতো,
☞ ডিম কুচি পরিমাণমতো,
☞ টকদই ১ টেবিল চামচ,
☞ কাঁচামরিচ কুচি পরিমাণমতো,
☞ ভাজার জন্য পর্যাপ্ত তেল


Share/Bookmark

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০১১

ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং অনুষাঙ্গিক ভাবনাঃ একটি ব্যক্তিগত চিন্তার অপপ্রয়াশ

প্রতিবছর দেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে পাস করে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ঢাকামুখী হচ্ছে জীবিকার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন দুর্গত এলাকার মানুষ আশ্রয়ে খোঁজে ঢাকায় আসছে। এভাবে সারাদেশ থেকে ঢাকামুখী এই মানুষের ঢল ঢাকাকে করছে মানুষের বসবাসের অযোগ্য। ঢাকায় মানুষ বাড়ছে কিন্তু সেই হারে কি ঢাকা শহরের আয়তন বাড়ছে? রাস্তাঘাট সেই মান্ধাতা আমলে করা প্রসস্থতা নিয়েই আছে, কিন্তু এই বর্ধিত জনসংখ্যার চাপে যানজট ভয়াবহ আকার নিচ্ছে, ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা এবং অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। এখন যে অবস্থা চলছে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আবার বাসায় ফিরে যাবে কিনা সন্দেহ আছে। উর্ধ্বমুখী এই মানুষের ভীড়ে ঢাকা যেমন মানুষের মেলা, বেড়েছে যানজট, তেমনি জীবিকার অভাব, মানুষ অবৈধ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ধ্বসে পড়ছে। ছিনতাই-রাহাজানি অহরহরেই ঘটছে এই মেট্রোপলিটন শহর ঢাকাতে। সামান্য কারনেই খুন হচ্ছে মানুষ। এসবের মুলে আসলে ঢাকা মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার চাপ, এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারনে ঢাকা শহরে মানুষ পারছে না স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করতে। তাই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ আজ জরুরী। সারাদেশ থেকে  মানুষের এই ঢাকামুখী স্রোত বন্ধ করতে হবে, তবে সেটা আইন করে জোর করে নয়, অন্যান্য জেলা শহরেও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। ঢাকায় নতুন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-কলকারখানা স্থাপন বন্ধ করতে হবে, বরং অন্যান্য জেলায় এগুলো স্থাপনে উৎসাহ দেবার জন্য সরকার কর্তৃক বিশেষ সুবিধা ঘোষনা করা যেতে পারে। এজন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা , আস্তে আস্তে ভেবে চিনতে এগুতে হবে, যাতে ভুলের কারনে গচ্চা না হয়। যদিও আমাদের দেশে প্রজেক্ট খুবই জনপ্রিয়, প্রতি বছর নতুন নতুন প্রজেক্ট আবার প্রজেক্টের সম্ভাবতা যাচাই এর জন্য কোটি কোটি টাকা লস, সংশ্লিষ্ট বড় কর্তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদেশে ভ্রমন ব্লা ব্লা ব্লা......এভাবেই টাকা শেষ, প্রজেক্ট তখন ফাইলবন্দী।

যাহোক আসল কথায় আসি, সারাদেশের সকল জেলা সদরের সাথে ঢাকা সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে হবে, রাস্তা ডবল লেনের করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু সুপার হাইওয়ে করা যেতে পারে, যেগুলোতে আরো দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছা যাবে কিন্তু বিনিময় টোল দিতে হবে। সরকার এজন্য বাহিরের কনষ্ট্রাকশন কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করতে পারে, যারা নিজেদের অর্থায়নে এই সুপার মহাসড়ক তৈরি করে নিজেরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টোল আদায় করে খরচ ঊঠিয়ে নেবে, এরপর এটা সরকারের হয়ে যাবে।

ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলির সাথে ট্রেন যোগাযোগ উন্নত করতে হবে, সর্বোচ্চ আধাঘন্টা ব্যবধানে এসব জেলা সদরের সাথে ঢাকায় ট্রেন চলাচল করাতে হবে। ট্রেনগুলিতে ৫-১০টা বগি থাকবে, ফলে ঢাকায় থাকার মানসিকতা কমে যাবে, মানুষ প্রতিদিন আশেপাশের জেলা থেকে ঢাকায় তাদের অফিস করতে পারবে। যার ফলে ঢাকায় মানুষের চাপ অনেক কমে যাবে।


Share/Bookmark

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ পাবদা মাছের দোঁপেয়াজো

উপকরনঃ
পাবদা মাছ ২৫০ গ্রাম

পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ

কাঁচামরিচ পরিমানমত

ধনে পাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ

টমেটো টুকরা ১ কাপ

মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ

মাছেরমসলা গুঁড়া ১ চা চামচ,

Share/Bookmark

শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১১

আম্রিকা ট্যুরঃ পর্ব-০৩

অনলাইনে বুকিং করেছিলাম টাওয়ার মোটেল, বেশ সস্তা এবং ছিমছাম, এক ভারতীয় দম্পতির এই মোটেল। কনফারেন্স লোকেশন থেকে দুই কিলো দূরে, বাসে এক ডলার আর হেঁটে ২৫মিনিট। ভারতীয় দম্পতির বলে ভাবছিলাম খাওয়াদাওয়ার হয়ত ব্যবস্থা আছে, কিন্তু আশায় গুড়ে বালি, ইমেইলেই জানিয়েছিলো এটার বিপরীত পাশেই আছে চাইনীজ রেষ্টুরেন্ট, সুতরাং চিন্তা নেই খাওয়া দাওয়ার। যাহোক রুমে প্রবেশ করেই মনটা ভালো হয়ে গেল, বেশ বড় রুম, আর খাটের দেখে মনে হলো সাঁতার কাটা যাবে। ৪জন অনায়াসে থাকা যাবে। প্রায়দিকেই গ্লাস লাগানো। বাথরুমটাও বেশ ঝকঝকে। রুমে নেট কানেকশনের ব্যবস্থা আছে, ওয়াইফাই দিয়ে স্পীড একটু কম, কিন্তু ক্যাবল দিয়ে বেশ ভালো স্পীড পেলাম। ফ্রেশ হওয়ার আগেই দেশে ফোন দিলাম যে পৌঁছেছি সমস্যা হয়নি। এরপর বাথরুমে গিয়ে লম্বা একটা গোছল দিলাম। এবার রুমের দিকে আরো ভালো করে তাকালাম। বেশ সস্তা দরের মোটেলে সুবিধাদি দেখে মুগ্ধই হলাম। টিভি-মিনি ফ্রিজ, টি-ব্যাগ, হেয়ার ড্রাইয়ার প্রভূতি। যা হোক গোছ গাছ করে বের হলাম আশেপাশের একটু দেখার জন্য। অবশ্য আসল উদ্দেশ্য ডাক্তারকে দেখানো। কারন গত বছর বেশ কমাস যাবত H.Pylori ব্যাক্টেরিয়ার ইনফেকশনে ভুগছিলাম। জাপানে ৩ কোর্সের ঔষধ খেয়ে না সারায় জাপানে ডাক্তার একটা লেটার ইস্যু করে দিয়েছিলো যদি সম্ভব হয় আমেরিকায় গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আরো ভালো ঔষধ

Share/Bookmark

শনিবার, ৯ জুলাই, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ চাইনীজ ভেজিটেবল

যা যা লাগবেঃ
✓গাজর টুকরা ১ কাপ                                 ✓ফুলকপি টুকরা ১ কাপ
✓আলু টূকরা ১ কাপ                                   ✓মটরশুটি ১ কাপ
✓বাধাকপি চারকোনা করে কাটা ১ কাপ            ✓বড় পেঁয়াজ চারকোনা করে কাটা ১ কাপ
✓টেস্টিং সল্ট ১/২ চামুচ                              ✓কাঁচামরিচ টুকরা ২টি
✓চিকেন১ কাপ                                         ✓দই ১ চামুচ
✓মাখানোর জন্য আদা রসুন পেষ্ট আধা চা চামচ  ✓সয়াসস ১ চা চামচ
✓রসুন কুচি সামান্য                                    ✓চিনি সামান্য ✓লবন আন্দাজমতো                                   ✓তেল ১ টেবিল চামচ

Share/Bookmark

শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০১১

আম্রিকা ভ্রমনঃ পর্ব-০২

শুরু হলো নির্দিষ্ট দিন ক্ষনে আমেরিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা। যাত্রী কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের, জানালার পাশে সিট। বেশ আরামেই চলতে লাগলাম, প্রায় সাড়ে এগারো ঘন্টার বিরতীহীন যাত্রা। বিমানে  সিনেমার দেখে দেখে আগামী দিনের ভাবনা ভেবে ভেবে ঘুমে গেছিলাম ......জাগা পেলাম ডিনারের জন্য এয়ারহোষ্টের ডাকে। হালাল খাবারের কথা আগেই বলা ছিলো, কিন্তু কোরিয়ান এয়ারের দেয়া হালাল খাবার জঘন্য লেগেছিলো। পরিমানও সামান্য। মেজাজটাই খিচড়ে গিয়েছিল। যা হোক খেয়ে আবার সিনেমা দেখা শুরু করলাম। ঘন্টা তিনেক পর ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম। কারন ভোরের দিকে লসএঞ্জেলস এয়ারপোর্টে নামতে হবে, এর আগে একটু ঘুমানো দরকার। এয়ারপোর্ট থেকে আবার ট্রেনে যেতে হবে লং বীচে। সেখানেই আগে থেকেই একটা মোটেল বুক করে রেখেছিলাম। যাহোক সকালে সময়মত পৌছলাম লসএঞ্জেলস এয়ারপোর্টে। সেই থাকে আমেরিকায় পদার্পন করলাম। হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে এগোতে থাকলাম ইমিগ্রেশনের দিকে। বেশ লম্বা লাইন। আমেরিকাদের লাইন বেশ হালকাই কিন্তু বিদেশীদের ৪টার মত লম্বা লম্বা লাইন। পরে কতিপয় অফিসার বিদেশীদের লাইন ভেঙ্গে আমেরিকানদের লাইনে দিলেন, সময় বাঁচানোর

Share/Bookmark

সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১১

আম্রিকা ট্যুরঃ পর্ব-০১

গত বছর একটা কনফারেন্সে আমেরিকা গিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে একটা সিরিজ লেখার চিন্তা মাথায় থাকলেও সময় আর সুযোগ ব্যাটে-বলে না হওয়ার এতদিন পর ভাবলাম লেখা শুরু করি। কনফারেন্স ছিলো গতবছরের নভেম্বরে। কনফারেন্স কমিটির গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার পর ভিসার জন্য টোকিওর আমেরিকান এম্বেসীতে গেলাম দেড়মাস আগেই। সব দরকারী ডকুমেন্টস-ফর্ম রেডি করে ইন্টারনেটে ওদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে সাবমিট করলাম, সুবিধামত ইন্টারভিঊ এর তারিখ নিয়ে বিসমিল্লাহ বলে রওনা দিলাম। আশেপাশের বাংলাদেশীদের কথা শুনে আশা-নিরাশার দুলতে দুলতে চলে গেলাম সকালে এম্বেসীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে। এখানে বলে রাখা ভালো অনলাইন সাবমিশনের পর একটা কনফার্মেশন পেজ আসে, যেখানে থাকে বার কোড নাম্বার। এটা ভিসা ফী জমা দিতে লাগে এবং ইন্টারভিঊ তারিখ নিতেও লাগে। ইন্টারভিঊ এর তারিখে যে সময় থাকে ঐটা আসলে এম্বেসী বিল্ডিং এ প্রবেশএর সময়, ইন্টারভিঊ এর সময় নয়। মোটামুটি ৩~৪ ঘন্টা লাগবে এম্বেসীতে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। এরা আগেই বলে দে সময় কাটানোর জন্য বই বা পেপার সাথে নিতে। তবে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী যেমনঃ সেলফোন, ক্যামেরা, মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি সাথে রাখা যাবে না এম্বেসীর ভেতরে, নিয়ে গেলেও ভেতরে প্রবেশের আগে এগুলি জমা নিয়ে আপনাকে একটা টোকেন দেবে, যেটা দেখিয়ে ফেরার সময় আপনার জিনিস্পাতি ফেরত নিতে পারবেন। যাহোক গিয়েই দেখি প্রবেশের জন্য সবাই লাইনে দাঁড়িয়েছে। আমার আগে প্রায় ১০০+ মানুষ। প্রায় ৪০মিনিটের মত লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। সেখানেও চারশতাধিক মানুষ হবে, সবাই অপেক্ষা করছে, কারো ইন্টারভিঊ, কারো ভিসা এক্সটেনশন। বাংলাদেশী ঐদিন কাঊকে পেলাম না, ইন্ডিয়ান একজনের সাথে পরিচয় হলো, ওনার সাথে কিছু সময় কাটালাম। এরমাঝে আমার ডাক পড়লো, দুইহাতের ছাপ দিয়ে আসলাম। এরপর ডাকবে ইন্টারভিউ এর জন্য। সাথে নিয়ে গেছিলাম মাসুদ রানা সিরিজের বই, ছিলোও আমেরিকাকে নিয়ে গল্প,

Share/Bookmark

শনিবার, ২ জুলাই, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ কলিজার সিঙ্গারা


যা যা লাগবেঃ
ময়দা : ৩কাপ
পানি: পরিমাণমতো
তেল : পরিমাণমতো
লবণ : স্বাদ অনুযায়ী
কালোজিরা : ১ চা চামচ

কলিজা টুকরা ১ কাপ
ছাল ছড়ানো ছোট ছোট টুকরো করা আলু, গাজর ২ কাপ
মটরশুঁটি : ১ কাপ
পিয়াজ কুচি :১ কাপ
ধনেপাতা কুচি : ১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি : ১ চা চামচ
আদা ও রসুন বাটা: ১ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়ো : আধা চামচ,
তেল : পরিমাণমতো

Share/Bookmark

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ ঘরে বানানো বগুড়ার দই

যা লাগবেঃ

  • দুধ ( দই এর পরিমানের দেড়গুন বা দ্বিগুন পরিমান)। বাজারে বেশি ঘনত্বের দুধ পাওয়া গেলে, তা ব্যবহার করা ভালো।
  • টকদই
  • চিনি (পরিমানমত)

প্রস্তুতপ্রণালীঃ
প্রথমে দুধ পাতিল/সস্প্যানে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। দুধের পরিমান জ্বাল দিয়ে দই এর পরিমানে আসা পর্যন্ত চুলায় রাখুন।

Share/Bookmark

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ মোগলাই পরোটা

উপকরণঃ ময়দা ২ কাপ, তেল, লবন, কাচা মরিচ, আদা ও রসুনবাটা (পরিমাণ মতো) ডিম ৪টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পিঁয়াজ, কুঁচি ১ কাপ আদা ও রসুনবাটা । গরম মশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ।

যেভাবে করবেনঃ প্রথমে পরিমাণ মতো লবণ, তেল ও পানি দিয়ে ময়দা ভালকরে ছানিয়ে নিতে হবে। তারপর মাওয়া ১ঘন্টা রেখে দিতে হবে, এরপরে কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে কাটা পিয়াজ, আদা ও রসুন বাটা স্বাদ অনুযায়ী লবণ, কাঁচামরিচ,গরম মশলাগুঁড়ো, ডিম (৩টি) দিয়ে ভালোভবে কষিয়ে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করে ঠান্ডা করুন।

Share/Bookmark

রবিবার, ২২ মে, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ ইলিশ পোলাও


ইলিশ পোলাও এর জন্য যা যা লাগবেঃ

➹ পিস করে কাটা ইলিশ মাছ (চাহিদানুযায়ী পিসের সংখ্যা নির্ভরশীল)
➹ আদা-রসুন-পেঁয়াজ পেষ্ট
➹ কাঁচা মরিচ
➹ পেঁয়াজ
➹ সোয়াবিন তৈল
➹ গরম মসলা, জিরা, তেজপাতা
➹ বাসমতি চাল
➹ দই
➹ মটরশুটি
➹ লবন

প্রণালীঃ
প্রথমেই চাল ১০মিনিট পানিতে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। এবার ইলিশ মাছ এর টুকরো গুলি ধুয়ে নিয়ে মসলা, আদা-রসুন-পেয়াজ পেষ্ট, সামান্য এবং দই দিয়ে মেখে নিন। পেঁয়াজ কুচি করে কাটুন। এখন ফাইপ্যানে তেল দিয়ে চুলা চালু করুন। তেল গরম হয়ে আসলে মাখানো ইলিশের টুকরোগুলো তেলে ছেড়ে দিন। হালকা ভেজে নিয়ে মাছ উঠিয়ে রাখুন। এবার মাখানো মসলা (যেগুলোতে মাছ মাখানো ছিলো) ফ্রাইপ্যানে নিন, আবার মাছ দিয়ে প্রায় ২০মিনিটের মত কষিয়ে নিতে হবে, ঊঠানোর আগে কয়েক্টা আস্ত কাঁচা মরিচ দিন। ভালোভেবে নাড়িয়ে অন্যপাত্রে মাছ ঊঠিয়ে রাখুন।


Share/Bookmark

শনিবার, ১৪ মে, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ পিজ্জা-র রেসিপি

☼ যা লাগবেঃ
➽ ময়দা ২ কাপ
➽ ইস্ট ২ চা চামুচ
➽ চিনি ২ চা চামুচ
➽ গুঁড়া দুধ ২ চা চামুচ
➽ লবন ১/২ চা চামুচ
➽ ডিম ১ টা
➽ পানি পরিমান মত
➽ চিজ পরিমান মত।
➽ টমেটো সস ১ টেবিল চামুচ


Share/Bookmark

শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১১

জাপানের ডায়েরীঃ টোকিও বৈশাখী মেলা ২০১১

এনিয়ে পরপর তিনবার টোকিওর ইকেবুকরোর নিশিগুচি পার্কে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় গেলাম। এবারই প্রথম সাদামাটাভাবে মেলা পালিত হলো। জাপানের সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের পর, পুরা জাপানেই এর প্রভাব পড়েছে জাতীয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে। আর এটা একটা চ্যারিটি প্রোগামও হিসাবে পরিচালিত হয়েছে এবার। প্রায় দশলাখ ইয়েন সহায়তা এসেছে মেলায় আগমনকারীদের কাছ থেকে। বাংলাদেশীরা বাদে এই মেলার উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহনকারী থাকত জাপানীজরা, কিন্তু বিপর্যয়ের পর থেকে জাপানীজরাও অনেক গুটিয়ে নিয়েছে নিজেদেক। আগে ওরা যেকোন আমুদে অনুষ্ঠানে বিশেষ করে জাপানে অবস্থানরত বিদেশীদের অনুষ্ঠানে অকাতরে অংশ নিত, কিন্তু এবার সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে। গতবারের মেলার চেয়ে এবার বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনও প্রায় অর্ধেক, এর কারনও সাম্প্রতিক বিপর্যয়, অনেকে আবার এই বিপর্যয়ের পর একমাসের ছুটিতে দেশে রয়েছেন, অনেকের পরিবার পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে অনেকেরই আসা হয়নি। খাবারের ষ্টলও এবার তুলনামূলক কম। অন্যান্য ষ্টলও কম। খাবারের মানও এবার ভালো লাগলো না। যা তৈরি করেছে, তা গুনগতমানহীন। রসমালাই খেলাম, মনে হলো মিষ্টি দেয়া দুধে আটার গোলা  (গোল্লা নয়) খেলাম। স্বভাজাত বেশি ইনকামের চিন্তা, কিন্তু তারা যে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করছে এই চিন্তা নেই। তবে একটা বিষয় ভালো হয়েছে, তা হচ্ছে মোটামুটি লোকজনের কম আগমনে বেশ আরামে ঘোরাফেরা করা গেছে, স্টেজের সামনের বসার অংশ প্রায় ফাঁকা ছিলো, কারন একদিকে যেমন রোদ আর লোকের সরগরম কম হওয়ায় সবাই ইচ্ছেমত বসতে বা দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরেছে, যদিও বাংলাদেশ থেকে এবার কোন শিল্পী আসেনি। যদিও এই মেলার উদ্যোক্তাদের ওয়েবসাইটে লেখা ছিলো ক্লোজআপ তারকা লিজা আসার কথা। যাহোক এবারের মেলায় স্থানীয় উত্তরণ এবং স্বরলীপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। বাংলাদেশী গানের তালে জাপানীজদের নাচ বেশ দর্শনীয় ছিলো [নিচের ভিডিও দেখুন]।


Share/Bookmark

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১১

জাপানের ডায়েরীঃ জাপানে বসন্ত-সাকুরা-হানামী উৎসব

চেরি ফুলকে জাপানে সাকুরা বলা হয়। Japanese kanji : 桜 or 櫻; hiragana: さくら। তবে এই ফুল দেয়া চেরি গাছ থেকে চেরি ফল পাওয়া যায় না, চেরির আর এক প্রজাতির গাছ থেকে চেরি ফল পাওয়া যায় যা জাপানিজে sakuranbo বলে। জাপানে এই সাকুরা ফুল ফোটার সময়ে উৎসব এর বন্যা বয়ে যায়। সবাই সাকুরা ফুলে ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাকুরা ফুল দেখা নিয়ে যে উৎসব হয় তাকে হানামি (hanami: 花見) বলে। জাপানে প্রায় ২০০ প্রজাতির চেরির চাষ হয়। এই ফুল ফোটার সময় হলো এপ্রিল মাস। এসময় সারা জাপান হালকা গোলাপী রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। হানামি উৎসবে কবি-গায়ক-সকল স্তরের মানুষ স্থানীয় কোন পার্ক/স্থান যেখানে চেরির গাছ থাকে সেখানে জড়ো হয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। জাপানের ১০০ ইয়েনের মূদ্রায় এক পিঠে এই সাকুরার ফুল অংকিত আছে।
 
 এপ্রিলে এই হানামী উৎসব জাপানীজদের মনে বেশ রাঙিয়ে তোলে। যদিও গত ১১ই মার্চের ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সুনামীর প্রভাব এখনও এদের মনে দগদগে ঘা এর মত হয়ে আছে, এখন এটাই দেখার বিষয় সাকুরা এদের দেহ ও মনকে কতটা প্রফুল্ল করে তোলে। নিচে গতবারের হানামীর সময় তোলা সাকুরার ছবি এবং ভিডিও।








Share/Bookmark

বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

অপরুপা বাংলাদেশ


Share/Bookmark

বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ হাঁসের মাংসের ঝোল

আবার নিজের মত করে রান্নার গল্প। জাপানে বাংলাদেশী হালাল শপে সাধারনত ব্রাজিল থেকে আমদানী করা হাঁস পাওয়া যায়। দামের কথা আর নাই বা বললাম। রসনা তৃপ্তির বেলায় দাম কোন ব্যাপারই না। তারপরেও বলে রাখি ২কেজি ওজনের ব্রাজিলের একটা হাসেঁর দাম মাত্র ১৫০০ জাপানীজ ইয়েন ( ১ইয়েন= ০.৮৪ টাকা)।


যা যা লাগবেঃ
✿ হাঁসের মাংস (মোটামুটি ১কেজি)
✿ পেঁয়াজ কুচি দেড়কাপ
✿ আদা-রসুন পেষ্ট
✿ শুকনা মরিচের গুড়া
✿ ধনিয়া পাতা

Share/Bookmark

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১১

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সেরা খাবারের তালিকাঃ নতুন করে আপডেট-১

প্রিয় বাংলাদেশের সব এলাকার বিখ্যাত খাবারের নাম জানি? অথচ আমরা অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, কিন্তু ঐ এলাকার সুস্বাদু খাবারের নাম যদি জানতেন??রসনার তৃপ্তি মেটাতে পারতেন ঐসব মুখরোচক বিখ্যাত খাবার দিয়ে। এই লক্ষ্যে আগে পোষ্ট দিয়েছিলাম সামু আর আলুতে, বাংলাদেশের বিখ্যাত ও সুস্বাদু খাবারের তালিকা করতে। অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। ওসবে আর ব্লগিং করা হয় না, একটা আপডেট দিয়েছিলাম আমার গল্পের বাগানবাড়িতে সেটাই আবার এই ব্লগের জন্য পোষ্ট দিলাম, প্লিজ সবাই নিজের এলাকার বিখ্যাত খাবার (তৈরি করা, প্রকৃতি প্রদত্ত-শস্য-ফল-মাছ-শাক-সবজি নয়) এর নাম, যদি সম্ভব হয় ছবি সহ দিন।



বগুড়ার দই

গাইবান্ধার রসমঞ্জুরী
টাঙ্গাইলের চমচম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালের বড়া
বাঘাবাড়ির ঘি
নওগাঁর প্যারা সন্দেশ


(ছবি কৃতজ্ঞতাঃ সামুর ব্লগার অগ্নিবীনা )
নাটোরের কাঁচাগোল্লা




Share/Bookmark

রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১১

প্রবাসের রান্নাঘরঃ মোরগ পোলাও

আবারো নিজের রেসিপি নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে রান্নার চেষ্টা। এবারের আইটেম মোরগ পোলাও।


যা লাগবেঃ
পোলাও এর চাল দুকাপ, মোরগের দুইটা রান, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ, তেল, গরম মসলা, আদা-রসুন পেষ্ট, দই, ধনিয়াপাতা। [আমি ২জনের পরিমান করে রান্না করেছি, পাঠক ইচ্ছামত পরিমান কমবেশি করতে পারবেন আনুষাঙ্গিক আইটেম কম বেশি করে। এমনকি বিভিন্ন মসলা যেমনঃ দারুচিনি-এলাচ-লবঙ্গ-জায়ফল-জয়ত্রী ব্যবহার করতে পার স্বাদ আর ঘ্রানে নতুনত্ব আনতে। প্রবাসে যেহেতু একা থাকি আর মসলা প্রাপ্তিতে সমস্যা বিধায়, নূন্যতম যা না হলে নয় সেগুলি দিয়েই রান্নার চেষ্টা ]


যেভাবে শুরু করবেনঃ
প্রথমে মোরগের রান দুটি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরতে দিন। এবার দই (পরিমানটা হবে এমন যাতে সব মাংস ভালোভাবে মাখানো যায়) আর আদা-রসুন পেষ্ট দিয়ে মাংস ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়ে একটা বক্সে করে রেখে দিন মেরিনেট করার জন্য। নূণ্যতম দুই ঘন্টা, তবে সারারাত রাখতে পারলে আরো ভালো।


Share/Bookmark
^ Back to Top