গত বছর একটা কনফারেন্সে আমেরিকা গিয়েছিলাম, সেটা নিয়ে একটা সিরিজ লেখার চিন্তা মাথায় থাকলেও সময় আর সুযোগ ব্যাটে-বলে না হওয়ার এতদিন পর ভাবলাম লেখা শুরু করি। কনফারেন্স ছিলো গতবছরের নভেম্বরে। কনফারেন্স কমিটির গ্রীন সিগন্যাল পাওয়ার পর ভিসার জন্য টোকিওর আমেরিকান এম্বেসীতে গেলাম দেড়মাস আগেই। সব দরকারী ডকুমেন্টস-ফর্ম রেডি করে ইন্টারনেটে ওদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে সাবমিট করলাম, সুবিধামত ইন্টারভিঊ এর তারিখ নিয়ে বিসমিল্লাহ বলে রওনা দিলাম। আশেপাশের বাংলাদেশীদের কথা শুনে আশা-নিরাশার দুলতে দুলতে চলে গেলাম সকালে এম্বেসীতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে। এখানে বলে রাখা ভালো অনলাইন সাবমিশনের পর একটা কনফার্মেশন পেজ আসে, যেখানে থাকে বার কোড নাম্বার। এটা ভিসা ফী জমা দিতে লাগে এবং ইন্টারভিঊ তারিখ নিতেও লাগে। ইন্টারভিঊ এর তারিখে যে সময় থাকে ঐটা আসলে এম্বেসী বিল্ডিং এ প্রবেশএর সময়, ইন্টারভিঊ এর সময় নয়। মোটামুটি ৩~৪ ঘন্টা লাগবে এম্বেসীতে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। এরা আগেই বলে দে সময় কাটানোর জন্য বই বা পেপার সাথে নিতে। তবে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী যেমনঃ সেলফোন, ক্যামেরা, মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি সাথে রাখা যাবে না এম্বেসীর ভেতরে, নিয়ে গেলেও ভেতরে প্রবেশের আগে এগুলি জমা নিয়ে আপনাকে একটা টোকেন দেবে, যেটা দেখিয়ে ফেরার সময় আপনার জিনিস্পাতি ফেরত নিতে পারবেন। যাহোক গিয়েই দেখি প্রবেশের জন্য সবাই লাইনে দাঁড়িয়েছে। আমার আগে প্রায় ১০০+ মানুষ। প্রায় ৪০মিনিটের মত লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম। সেখানেও চারশতাধিক মানুষ হবে, সবাই অপেক্ষা করছে, কারো ইন্টারভিঊ, কারো ভিসা এক্সটেনশন। বাংলাদেশী ঐদিন কাঊকে পেলাম না, ইন্ডিয়ান একজনের সাথে পরিচয় হলো, ওনার সাথে কিছু সময় কাটালাম। এরমাঝে আমার ডাক পড়লো, দুইহাতের ছাপ দিয়ে আসলাম। এরপর ডাকবে ইন্টারভিউ এর জন্য। সাথে নিয়ে গেছিলাম মাসুদ রানা সিরিজের বই, ছিলোও আমেরিকাকে নিয়ে গল্প,
আম্রিকা ট্যুরঃ পর্ব-০১