এনিয়ে পরপর তিনবার টোকিওর ইকেবুকরোর নিশিগুচি পার্কে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলায় গেলাম। এবারই প্রথম সাদামাটাভাবে মেলা পালিত হলো। জাপানের সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিপর্যয়ের পর, পুরা জাপানেই এর প্রভাব পড়েছে জাতীয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে। আর এটা একটা চ্যারিটি প্রোগামও হিসাবে পরিচালিত হয়েছে এবার। প্রায় দশলাখ ইয়েন সহায়তা এসেছে মেলায় আগমনকারীদের কাছ থেকে। বাংলাদেশীরা বাদে এই মেলার উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহনকারী থাকত জাপানীজরা, কিন্তু বিপর্যয়ের পর থেকে জাপানীজরাও অনেক গুটিয়ে নিয়েছে নিজেদেক। আগে ওরা যেকোন আমুদে অনুষ্ঠানে বিশেষ করে জাপানে অবস্থানরত বিদেশীদের অনুষ্ঠানে অকাতরে অংশ নিত, কিন্তু এবার সবকিছুতেই ভাটা পড়েছে। গতবারের মেলার চেয়ে এবার বাংলাদেশীদের অংশগ্রহনও প্রায় অর্ধেক, এর কারনও সাম্প্রতিক বিপর্যয়, অনেকে আবার এই বিপর্যয়ের পর একমাসের ছুটিতে দেশে রয়েছেন, অনেকের পরিবার পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে অনেকেরই আসা হয়নি। খাবারের ষ্টলও এবার তুলনামূলক কম। অন্যান্য ষ্টলও কম। খাবারের মানও এবার ভালো লাগলো না। যা তৈরি করেছে, তা গুনগতমানহীন। রসমালাই খেলাম, মনে হলো মিষ্টি দেয়া দুধে আটার গোলা (গোল্লা নয়) খেলাম। স্বভাজাত বেশি ইনকামের চিন্তা, কিন্তু তারা যে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করছে এই চিন্তা নেই। তবে একটা বিষয় ভালো হয়েছে, তা হচ্ছে মোটামুটি লোকজনের কম আগমনে বেশ আরামে ঘোরাফেরা করা গেছে, স্টেজের সামনের বসার অংশ প্রায় ফাঁকা ছিলো, কারন একদিকে যেমন রোদ আর লোকের সরগরম কম হওয়ায় সবাই ইচ্ছেমত বসতে বা দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পেরেছে, যদিও বাংলাদেশ থেকে এবার কোন শিল্পী আসেনি। যদিও এই মেলার উদ্যোক্তাদের ওয়েবসাইটে লেখা ছিলো ক্লোজআপ তারকা লিজা আসার কথা। যাহোক এবারের মেলায় স্থানীয় উত্তরণ এবং স্বরলীপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। বাংলাদেশী গানের তালে জাপানীজদের নাচ বেশ দর্শনীয় ছিলো [নিচের ভিডিও দেখুন]।
