মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১০

ফেলে আসা স্মৃতি-২

☼দই☼

ছোটবেলা থেকেই দইয়ের ভক্ত ছিলাম, বাড়ি বগুড়া বলেই কিনা জানি না। যা হোক আজ দই নিয়ে স্মৃতি রোমহ্নন করছি। পিচ্চিকালে তখন দই বিক্রেতা ভারে করে (বাশের লিঠির মত যা ঘাড়ে নিয়ে এর দুই মাথায় রশি দিয়ে বাশের ঝুড়িতে কিছু বহন করতে ব্যবহার হয়) দই বিক্রি করতে আসত। দই বিক্রতের ডাক শুনলেই হল, কিভাবে যে আমার কানে আসত, সাথে সাথে দৌড় দিতাম, দই আনার জন্য। এভাবে মোটামুটি রেগুলার কাস্টমার আমি, দই ওয়ালারাও সম্ভবত বাড়ির সামনে এসে জোরে হাঁক দিত। মাঝে মাঝে এমন অবস্থা যে কখনও দই ওয়ালা এসে হাঁক দিলে আর আমার কোন নড়াচড়া পাওয়া না গেলে আম্মাই চিন্তায় পড়ে যেত, আমি কই গেলাম, বাড়িতে নিশ্চয় নাই , কারন বাড়িতে থাকলে, আর দই ওয়ালা আসলে আমি চুপ থাকব, এটা অসম্ভব। তাই ছোটবেলায় দইওয়ালা আসলেই বোঝা যেত আমি কোথায়!!!!!





আরো ছোট থাকতে আম্মার বিয়ে নিয়ে কান্নাকাটি করতাম। বগুড়ার দই শুনে ভাবতাম শুধু দই শহরেই পাওয়া যাবে, সুতরাং দই খেতে হলে বগুড়া শহরে থাকতে হবে, তাহলে কেন আম্মার বিয়ে শহরে হল না, দই খাবো কি করে————–


এখনো মনে হলে হাসি আটকাতে পারি না । তবে এই কাহিনী যারাই জানে, সেই বাসায় গেলে দই বেশি বেশি করে খাওয়ার……আমার শ্বশুরের বাসার সাথেই প্রায় একটা দই এর কারখানা, এবার বুঝুন আমার অবস্থা……………
ছবিঃ ফ্লিকার থেকে, বগুড়ার গ্রামীন-ডানোন এর শক্তি দইয়ের এ্যাড থেকে নেয়া!!!







________________________________________________________________


-ফেসবুকে বগুড়ার দই পেজে আপনাকে স্বাগতম-

(নিচের এনিমেশনে কিক করুন, বগুড়ার দই এর ফ্যান হয়ে যান)




Share/Bookmark

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

^ Back to Top