বগুড়া- উত্তরাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র, সম্ভাবনাময় একটা শহর, যথাযথ পরিকল্পনার ছোয়া পেলে দেশের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র, পর্যটনকেন্দ্র, শিক্ষার শহরে পরিনত করা সম্ভব। এখানে রয়েছে বেশ কজন পীর আঊলিয়া, বিখ্যাত বগুড়ার দই, রয়েছে আন্তঃজাতিক মানের শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, আধুনিক জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, ৪তারকা হোটেল নাজ গার্ডেন প্রভূতি।
বগুড়ায় যেভাবে যাবেন (ঢাকা থেকে):
ঢাকার গাবতলী আর মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বগুড়া যাবার জন্য এসি-ননএসি-ভলবো-মফিজ সব ধরনের বাসই আছে। তবে গ্রীনলাইন, এসআর পরিবহন, শ্যামলী ট্রাভেলস, টিআর ট্রাভেলস, হানিফ ইন্টারপ্রাইজ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া মধ্যমমানের একতা পরিবহন আছে যা মহাখালী থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ট্রেনে যাওয়া সহজ হবে না, কারন শান্তাহার নেমে আবার বগুড়ায় আসতে হবে, এরচেয়ে প্রায় চার/সাড়ে চার ঘন্টার বাস ভ্রমন অনেক আরামদায়ক। ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নামতে পারবেন বনানীতে, ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনালে। আর যদি বাস এর শেষ গন্তব্য বগুড়ায় না হয় তাহলে অবশ্যই বনানী, চারমাথায় নামতে হবে। তবে অনেক বাস ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনালে বগুড়ার যাত্রী নেমে দিয়ে পরের গন্তব্যে চলে যায়।
নিচে বাস কাউন্টার এর নাম্বার দিচ্ছি (কৃতজ্ঞতাঃ বিডিট্রাভেল ইনফো)
শ্যামলী পরিবহনঃ ভাড়া নন এসি ২৫০ +/- (এসি ৩০০ এর মত)
কল্যানপুরঃ 02-9003331, 02-7520405
গাবতলীঃ 02-8014538, (0531)-64211
কলাবাগানঃ 01711130862
আসাদ গেটঃ 02-9123471, 8124881
দারুস সালামঃ 01712-008672, 01711-868283
বগুড়াঃ 64920, 64455, 01712-292966
এসআর ট্রাভেলসঃ এসি ৩০০টাকা, সকাল ৭.৩০ থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত ৩০মিনিট পরপর ছাড়ে
কল্যানপুরঃ 02-8013793, 02-8060876
গাবতলীঃ 02-8011226
কাকরাইলঃ 02-9352118
উত্তরাঃ 01552315318, 0171944023
মহাখালীঃ 02-8834833
বগুড়াঃ 01711394802, 06445100066
টিআর ট্রাভেলসঃ
সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গড়ে প্রায় ৩০মিনিট পরপর ছাড়ে, ভাড়া ২০০টাকা (নন এসি)
গাবতলীঃ 01191-494865
কল্যানপুরঃ 01191-494868
মহাখালীঃ 01191-494866
বগুড়াঃ 01191-494862, 01195116222
গ্রীন লাইন পরিবহনঃ
উত্তরাঃ 01716976775
কল্যানপুরঃ 9008694 / 8032957 (Petrol Pump)
কলাবাগানঃ 9112287
বগুড়াঃ 051-60477, 0189815842
একতা পরিবহনঃ প্রতি ৪০মিনিট পরপর, ভাড়া প্রায় ২০০টাকা
মহাখালীঃ 01711103191
উত্তরা (আব্দুল্লাহপুর)ঃ 01712287730
উত্তরা (আজমপুর)ঃ 01717551107
বগুড়াঃ 01191184895
বগুড়ায় থাকার প্লান করলেঃ
হোটেল নাজ গার্ডেন (ফোর স্টার মানের), পর্যটন মোটেল (880-51-67024-7), সেফওয়ে মোটেল (+8805166087), নর্থওয়ে মোটেল (+88-051-66824, +8805167019), সেন্চুরি মোটেল, মোটেল ক্যাসল এম এইচ (+8805151769)। এগুলা প্রত্যেকটাই শহরের বাইরে, নিরিবিলি পরিবেশে। আর শহরের মধ্যেও অনেক হোটেল আছে তার মধ্যে হোটেল আকবরিয়া অন্যতম। আরো কিছু হোটেলের নাম্বারঃ
হোটেল আকবরিয়াঃ ৬৬৯৯৭
আরিফ হোটেক এন্ড রেষ্টুঃ ৭৩২৭২
হোটেল আল নূরঃ ৬৬৫৫১
হোটেল আল যামি (বড় মসজিদ লেন)-৬৫৮৯৫
হোটেল আজিজ (কবি নজরুল সড়ক)-৭৩৮৮৬
হোটেল হানিডে (বড় মসজিদ লেন)-৬৪৩৫৫
হোটেল মোমিন (থানা রোড)-৬৫৫৩৬
হোটেল রাজমনি (রাজাবাজার)-৬৪০২১
হোটেল সানভিঊঃ ৬৬০০৬
হোটেল আল নূরঃ ৬৬৫৫১
হোটেল আল যামি (বড় মসজিদ লেন)-৬৫৮৯৫
হোটেল আজিজ (কবি নজরুল সড়ক)-৭৩৮৮৬
হোটেল হানিডে (বড় মসজিদ লেন)-৬৪৩৫৫
হোটেল মোমিন (থানা রোড)-৬৫৫৩৬
হোটেল রাজমনি (রাজাবাজার)-৬৪০২১
হোটেল সানভিঊঃ ৬৬০০৬
কৃতজ্ঞতাঃ bdtradeinfo
নাজ গার্ডেন (ছবিঃ হামড়া বোগড়োর ছোল-ফেসবুক ফ্যান পেজ)
হোটেল সম্পর্কে এখানে আরো তথ্য পাবেনঃ
বগুড়ায় ঘোরাঘুরিঃ
✔প্যালেস মিউজিয়াম (নবাব বাড়ি রোড): বগুড়ার নবাবের বাড়িকে নতুন করে সাজিয়ে এমিউজমেন্ট পার্ক বানানো হয়েছে। ভাল লাগবে।
বগুড়া নবাব বাড়ি (ছবি এবং তথ্যঃ mynewspapercut.blogspot)
নবাব আমলের পাইক-পেয়াদা আর বরকন্দাজের রূপকথা, মডেল করে দেখানো হয়েছে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাববাড়িতে। নবাবী জীবন প্রণালি এবং নবাবী আমলের সভ্যতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য কয়েকজন গুণী শিল্পীর অক্লান্ত শ্রম ও মেধায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম অ্যান্ড অ্যামাউজমেন্ট পার্ক। দেশের উত্তর জনপদের কেন্দ্রস্থল বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র করতোয়া নদীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে নবাব প্যালেসের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে এই মিউজিয়াম অ্যান্ড পার্ক।
নবাব প্যালেসে প্রবেশ করলে দেখা যাবে তরুণী-কৃষাণী বধূরা অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক কৃষাণের জন্য। নবাববাড়ির চারদিকে পাতাঝরা গাছে পাখি বসে আছে। কোনো কোনো গাছে পাখিরা ঠোকাঠুকি করছে। পুরনো প্যালেসটি বিশাল এক জাদুঘর। বিনোদন কেন্দ্র, জোড়া ঘোড়ার গাড়ি, কোচওয়ানদের হাতে চাবুক। ইতিহাসভিত্তিক কাহিনী অবলম্বনে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ হতে পারে, আবার তা যদি বাণিজ্যিক সফলতা পায় তবে ইতিহাসের বিষয়বস্তুর প্রতিচ্ছবি-প্রতিমূর্তি দাঁড় করিয়ে কেনইবা দর্শকনন্দিত করা যাবে না। এ বিশ্বাসকে ভিত্তি করে বগুড়ার নবাববাড়ির অতীত দিনের নেপালি দারোয়ান, মালী, পালকি, বেহারা, কোচওয়ান, টমটম, সিংহ, বাঘ, কুমির, ময়ূর, রাজহাঁস, বিভিন্ন পাখির প্রতিমূর্তি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নবাববাড়ি বিরাট হলরুমের দেয়ালে নবাব আবদুস সোবাহান চৌধুরী, নবাবজাদা আলতাফ আলী চৌধুরী, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী, সৈয়দ তহুরুন নেছা চৌধুরানী, সৈয়দ আলতাফুন নেছা চৌধুরানী। নবাব আমলের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল এগিয়ে আসেন। সৈয়দ ওমর আলী চৌধুরীর উদ্যোগে শিল্পী আমিনুল ইসলাম দুলাল তার সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে ইতিহাসের সূতিকাগার নবাববাড়িকে রক্ষা করেন এবং একে দর্শনীয় স্থানে রূপদানের চেষ্টা করেন। শিল্পী দুলালের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে সৈয়দ ওমর মশগুল, অতিথি আপ্যায়ন, বিলিয়ার্ড খেলা, পড়ার ঘরে বই সাজানো, জলসা ঘরে জলসার দৃশ্য, নায়েবের খাজনা আদায়_ এমন অনেক দৃশ্য জীবন্ত করে তোলার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।
১৯৯৮ সালের মে মাসে বগুড়ার নবাব মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম অ্যান্ড অ্যামাউজমেন্ট পার্ক বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। ১০ টাকার টিকিট কিনে মূল গেট পার হতে হয়। এরপর ট্রেন, দোলনা, বিমানে চড়া এবং নবাববাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে টিকিট প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এই মিউজিয়াম দেখাশোনা করেন মোহাম্মাদ আলীর ছেলে সৈয়দ হামদে আলী চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থানের পর কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে পিতৃবাড়িতে অবস্থান করছেন। (কৃতজ্ঞতাঃ আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া)
নবাব প্যালেসে প্রবেশ করলে দেখা যাবে তরুণী-কৃষাণী বধূরা অপেক্ষা করছে তার প্রেমিক কৃষাণের জন্য। নবাববাড়ির চারদিকে পাতাঝরা গাছে পাখি বসে আছে। কোনো কোনো গাছে পাখিরা ঠোকাঠুকি করছে। পুরনো প্যালেসটি বিশাল এক জাদুঘর। বিনোদন কেন্দ্র, জোড়া ঘোড়ার গাড়ি, কোচওয়ানদের হাতে চাবুক। ইতিহাসভিত্তিক কাহিনী অবলম্বনে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ হতে পারে, আবার তা যদি বাণিজ্যিক সফলতা পায় তবে ইতিহাসের বিষয়বস্তুর প্রতিচ্ছবি-প্রতিমূর্তি দাঁড় করিয়ে কেনইবা দর্শকনন্দিত করা যাবে না। এ বিশ্বাসকে ভিত্তি করে বগুড়ার নবাববাড়ির অতীত দিনের নেপালি দারোয়ান, মালী, পালকি, বেহারা, কোচওয়ান, টমটম, সিংহ, বাঘ, কুমির, ময়ূর, রাজহাঁস, বিভিন্ন পাখির প্রতিমূর্তি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নবাববাড়ি বিরাট হলরুমের দেয়ালে নবাব আবদুস সোবাহান চৌধুরী, নবাবজাদা আলতাফ আলী চৌধুরী, তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী, সৈয়দ তহুরুন নেছা চৌধুরানী, সৈয়দ আলতাফুন নেছা চৌধুরানী। নবাব আমলের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে শিল্পী আমিনুল করিম দুলাল এগিয়ে আসেন। সৈয়দ ওমর আলী চৌধুরীর উদ্যোগে শিল্পী আমিনুল ইসলাম দুলাল তার সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে ইতিহাসের সূতিকাগার নবাববাড়িকে রক্ষা করেন এবং একে দর্শনীয় স্থানে রূপদানের চেষ্টা করেন। শিল্পী দুলালের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে সৈয়দ ওমর মশগুল, অতিথি আপ্যায়ন, বিলিয়ার্ড খেলা, পড়ার ঘরে বই সাজানো, জলসা ঘরে জলসার দৃশ্য, নায়েবের খাজনা আদায়_ এমন অনেক দৃশ্য জীবন্ত করে তোলার জন্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।
১৯৯৮ সালের মে মাসে বগুড়ার নবাব মোহাম্মাদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম অ্যান্ড অ্যামাউজমেন্ট পার্ক বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। ১০ টাকার টিকিট কিনে মূল গেট পার হতে হয়। এরপর ট্রেন, দোলনা, বিমানে চড়া এবং নবাববাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে টিকিট প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এই মিউজিয়াম দেখাশোনা করেন মোহাম্মাদ আলীর ছেলে সৈয়দ হামদে আলী চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থানের পর কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে পিতৃবাড়িতে অবস্থান করছেন। (কৃতজ্ঞতাঃ আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া)
✔ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং শহীদ চান্দু আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়ামঃ--এত নিরিবিলি ওয়ান্ডারল্যান্ড আপনি আর কোথাও দেখবেন না আমি নিশ্চিত।সাথে আন্তঃজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখা ফ্রি।
শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম (ছবিঃ প্যানারোমিওডটকম)
✔ সাতমাথাঃ বগুড়া শহরের প্রানকেন্দ্র হলো সাতমাথা। সপ্তপদী মার্কেট এর দোতলা/তিনতলা থেকে চমৎকার ভিঊ পাবেন সাতমাথার। এখানেই রয়েছে বগুড়া জিলা স্কুল, শহীদ খোকন পার্ক, জিপিও, সার্কিট হাউজ।সাতমাথা থেকে কবি নজরুল সড়ক (থানা রোড) দিয়ে এগিয়ে গেলেই পাওয়া যাবে এশিয়া সুইটস, কোয়ালিটির বিরিয়ানী হাউজ, হোটেল শ্যামলী, হোটেল আকবরিয়া।
এশিয়া সুইটমিট
বগুড়া জিলা স্কুল ( ছবিঃ জুনায়েদ )
শহীদ খোকন পার্ক (ছবি-ফয়সল কবীর শুভ)
নবনির্মিত বায়তুর রহমান মসজিদ (ছবি-ফয়সল কবীর শুভ)
তিনমাথা/মাটিডালি (ছবিঃ হামড়া বোগড়োর ছোল-ফেসবুক ফ্যান পেজ)
জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (ছবি-বগুড়াসিটি.ইনফো)
✔ এডওয়ার্ড পার্কঃ
বৃটিশ শাসনামলে বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দু সাতমাথার কাছে শহরের মানুষের অবকাশ এবং বিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে তোলা হয়। বৃটিশ রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের নামে এই পার্কটির নাম করণ করা হয় এডওয়ার্ড পার্ক এবং পার্কে সপ্তম এডওয়ার্ডের একটি সাদা পাথরের মূর্তিও স্থাপন করা হয়। সে সময় এডওয়ার্ডের স্থাপনকৃত মূর্তির কাছেই দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়। এই ফোয়ারার পানিতে স্থাপন করা হয় বেশ কয়েকটি পাথরের হাঁস। বগুড়ার আদমদীঘির তৎকালীন জমিদার যতীশ চন্দ্র নিওগীর অর্থায়নে বাংলা ১৩১৯ সন অনুযায়ী ১৯১২ সালে পার্কে ফোয়ারাটি নির্মাণ করা হয়। নতুন করে আবারো সাজানো হচ্ছে এই পার্কটিকে ভ্রমনপিপাসু আর প্রকৃতিপ্রেমিদের বিচরণের জন্য। সাতমাথা থেকে দক্ষিন দিকে হেঁটে মাত্র ২ মিনিট।
এছাড়া তিনমাথার কাছাকছি সরঃ আযিযুল হক বিশ্ব কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুঁ মারতে পারেন।
এছাড়া চারমাথা বাস টার্মিনাল থেকে অথবা মাটিডালি মোড় থেকে ঘুরে আসতে পারেন শিশুপল্লী থেকে
✔ মহাস্থান গড়ঃ শহরের প্রানকেন্দ্র সাতমাথা থেকে অথবা দত্তবাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন। বগুড়া থেকে ১২কিমি উত্তরে মহাস্থান গড়। এখানে সারাদিন ঘুরতে পারেন। জাদুঘর দেখবেন। মাজার জিয়ারত করতে পারেন। গোবিন্দ ভিটার পাশে প্রবহমান করতোয়া নদীর তীরে গাছের ছায়ায় অবশ্যই কিছুক্ষন বসবেন। আসার পথে বেহুলার বাসর ঘর দেখে আসবেন। এবং অবশ্যই মহাস্থানের "কটকটি" (চালের আটার) কিনে আনবেন। এছাড়া মহাস্থান গড় থেকে অনতিদুরে রয়েছে দেশের একমাত্র মসলা গবেষনাগার।
মহাস্থানগড়ের মসজিদ এবং মাজারে যাবার সিড়ি (ছবিঃ সামু ব্লগার অপ্সরা)
মহাস্থানগড় (ছবি-ওএমএস নিউজ)
জীয়ৎকুন্ড-মহাস্থানগড় [ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ডাঃ এন, এইচ, সার্জা] |
মহাস্থান যাদুঘর
✔ বেহুলার বাসর ঘর (গোকুল)-
বেহুলার বাসরঘর [ছবি-জুনাইদ] |
মা মনসার রোষানল একে একে কেড়ে নিয়েছে চাঁদ সওদাগরের সবকটি সন্তান। বাকি কেবল লখিন্দর। কিন্তু তাঁকেও কেড়ে নেওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন মনসা, ‘বাসররাতই হবে লখিন্দরের জীবনের শেষ রাত।’ কী করবেন চাঁদ সওদাগর? অনেক ভেবে লোহা দিয়ে নির্মাণ করলেন লখিন্দরের জন্য নিশ্ছিদ্র শয়নকক্ষ। কিন্তু তাতেও কি শেষ রক্ষা হলো? কোনো এক ফুটোপথে ঠিকই ঢুকে পড়লেন সাপের দেবী। সুযোগ বুঝে লখিন্দরের পায়ে ছোবল... দিশেহারা বেহুলা... মৃত স্বামীকে কলার ভেলায় তুলে তাঁর ইন্দ্রপুরীতে যাত্রা... নেচে গেয়ে খুশি করতে হবে ইন্দ্রকে...। সেই লখিন্দরের ভিটে কিন্তু এখনো মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে। অন্তত এলাকাবাসীর কাছে আজও তা বেহুলার বাসরঘর নামেই পরিচিত, বগুড়া শহর থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরেই যার অবস্থান।
এমন লৌকিক কাহিনিসমৃদ্ধ স্থান পরিদর্শন করতে কার না মন টানে? আমরা বন্ধুরা তাই সদলবলে তশরিফ রাখি বেহুলা-লখিন্দরের বাসরভিটায়। যখন পৌঁছাই, তখন দুপুর-বিকেলের মাঝামাঝি। কিন্তু সূর্যের তেজ বলছে, খাড়া দুপুর। ভ্যাপসা গরম। তবু আমাদের মতো আরও অনেক দর্শনার্থীই এসেছে। সবারই যেন এক মনোভাব—থোড়াই কেয়ার করি ওসব তেজ আর গরমকে!
মূল স্থাপনাটি সমতল হতে বেশ উঁচু এবং বহু স্তরবিশিষ্ট একটি দুর্গ। প্রত্যেক স্তরেই অসংখ্য কক্ষ। বন্ধুরা কৌতূহলী হয়ে গুনতে শুরু করলাম। গণনা এসে থামল ১৭৮-এ! অর্থাৎ ১৭৮টি কক্ষ আছে এই দুর্গে। এতগুলোর মধ্যে কোনটি তবে বেহুলার বাসরঘর? বোঝা মুশকিল; কারণ সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তা ছাড়া সব কটি কক্ষের আকৃতিগত কাঠামোও প্রায় একই রকম। অনেক তালাশ করেও এখানে লৌহনির্মিত কোনো কক্ষ খুঁজে পাওয়া গেল না। বন্ধুরা খুবই হতাশ। তবে দুর্গের একদম চূড়ায় ভিন্ন ধাঁচের একটি গোলাকৃতি কক্ষের দেখা মিলল। মনকে সান্ত্বনা দিলাম, এটিই হয়তো বাসরঘর!
তবে বেশিক্ষণ চূড়ায় থাকা সম্ভব হলো না। সূর্য তেজ ঢালছে তো ঢালছেই। আমরা দ্রুত নেমে আসি, আশ্রয় নিই গাছের ছায়ায়। কৃপা প্রার্থনা করি প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতি অবশ্য কার্পণ্য করে না। পাশের ধানখেত ছুঁয়ে আসা বাতাস আর সবুজ গাছপালা মুহূর্তেই প্রাণ জুড়িয়ে দেয় আমাদের। ভ্রাম্যমাণ শসা বিক্রেতার কাছ থেকে শসা কিনে গলা ভেজাই। দেখাদেখি একজন চা-বিক্রেতা আমাদের চা সাধেন, এই গরমে চা খেতে মন চায় না। এরপর আসেন বই বিক্রেতা।‘এই বইয়ে পাবেন বেহুলার বেবাক ইতিহাস, নেন স্যার একটা বই...।’
উঠে পড়ি, পুরো চত্বরে একবার চক্কর না দেওয়াটা বোকামি হবে। তা ছাড়া চত্বরজুড়ে ফুলের গাছ প্রথম থেকেই যেন কাছে ডাকছিল আমাদের। হেঁটে হেঁটে ফুলের সুবাস নিই, প্রজাপতির ওড়াউড়ি দেখি। জায়গায় জায়গায় রয়েছে বসার ব্যবস্থা।
নিজ পথে ছুটতে ছুটতে কোন ফাঁকে ঠিকই সূর্যদেব গাইতে শুরু করেছে বেলা শেষের গান। এর মাঝে হঠাৎ অনুভব করি, পেটের মধ্যে ছুঁচোর উৎপাত। মনে পড়ে, সারা দিন খাওয়া হয়নি কিছুই। কিছু সময়ের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক মনকে দূরে সরিয়ে রেখে নেমে পড়ি ভাতের হোটেলের অনুসন্ধানে।
যেভাবে যাবেন
বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ে যাবার পথে মহাস্থানের কয়েক কিমি আগেই এই আলোচিত বেহুলার বাসরঘর। বগুড়া শহর থেকে বাস অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে আপনাকে নামতে হবে গোকুল বাজারে। অথবা মহাস্থানগড় আগে ভ্রমন করলে, মহাস্থান থেকে স্কুটার, রিক্সায় গোকুল বাজারে আসতে পারবেন। তারপর সেখান থেকে ভ্যান অথবা রিকশায় অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবেন বেহুলার বাসরঘরে। রাতে থাকতে চাইলে ফিরে আসতে হবে বগুড়া শহরে। কেননা, এ এলাকার আশপাশে কোনো হোটেল বা মোটেল নেই।
এমন লৌকিক কাহিনিসমৃদ্ধ স্থান পরিদর্শন করতে কার না মন টানে? আমরা বন্ধুরা তাই সদলবলে তশরিফ রাখি বেহুলা-লখিন্দরের বাসরভিটায়। যখন পৌঁছাই, তখন দুপুর-বিকেলের মাঝামাঝি। কিন্তু সূর্যের তেজ বলছে, খাড়া দুপুর। ভ্যাপসা গরম। তবু আমাদের মতো আরও অনেক দর্শনার্থীই এসেছে। সবারই যেন এক মনোভাব—থোড়াই কেয়ার করি ওসব তেজ আর গরমকে!
মূল স্থাপনাটি সমতল হতে বেশ উঁচু এবং বহু স্তরবিশিষ্ট একটি দুর্গ। প্রত্যেক স্তরেই অসংখ্য কক্ষ। বন্ধুরা কৌতূহলী হয়ে গুনতে শুরু করলাম। গণনা এসে থামল ১৭৮-এ! অর্থাৎ ১৭৮টি কক্ষ আছে এই দুর্গে। এতগুলোর মধ্যে কোনটি তবে বেহুলার বাসরঘর? বোঝা মুশকিল; কারণ সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তা ছাড়া সব কটি কক্ষের আকৃতিগত কাঠামোও প্রায় একই রকম। অনেক তালাশ করেও এখানে লৌহনির্মিত কোনো কক্ষ খুঁজে পাওয়া গেল না। বন্ধুরা খুবই হতাশ। তবে দুর্গের একদম চূড়ায় ভিন্ন ধাঁচের একটি গোলাকৃতি কক্ষের দেখা মিলল। মনকে সান্ত্বনা দিলাম, এটিই হয়তো বাসরঘর!
তবে বেশিক্ষণ চূড়ায় থাকা সম্ভব হলো না। সূর্য তেজ ঢালছে তো ঢালছেই। আমরা দ্রুত নেমে আসি, আশ্রয় নিই গাছের ছায়ায়। কৃপা প্রার্থনা করি প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতি অবশ্য কার্পণ্য করে না। পাশের ধানখেত ছুঁয়ে আসা বাতাস আর সবুজ গাছপালা মুহূর্তেই প্রাণ জুড়িয়ে দেয় আমাদের। ভ্রাম্যমাণ শসা বিক্রেতার কাছ থেকে শসা কিনে গলা ভেজাই। দেখাদেখি একজন চা-বিক্রেতা আমাদের চা সাধেন, এই গরমে চা খেতে মন চায় না। এরপর আসেন বই বিক্রেতা।‘এই বইয়ে পাবেন বেহুলার বেবাক ইতিহাস, নেন স্যার একটা বই...।’
উঠে পড়ি, পুরো চত্বরে একবার চক্কর না দেওয়াটা বোকামি হবে। তা ছাড়া চত্বরজুড়ে ফুলের গাছ প্রথম থেকেই যেন কাছে ডাকছিল আমাদের। হেঁটে হেঁটে ফুলের সুবাস নিই, প্রজাপতির ওড়াউড়ি দেখি। জায়গায় জায়গায় রয়েছে বসার ব্যবস্থা।
নিজ পথে ছুটতে ছুটতে কোন ফাঁকে ঠিকই সূর্যদেব গাইতে শুরু করেছে বেলা শেষের গান। এর মাঝে হঠাৎ অনুভব করি, পেটের মধ্যে ছুঁচোর উৎপাত। মনে পড়ে, সারা দিন খাওয়া হয়নি কিছুই। কিছু সময়ের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক মনকে দূরে সরিয়ে রেখে নেমে পড়ি ভাতের হোটেলের অনুসন্ধানে।
যেভাবে যাবেন
বগুড়া থেকে মহাস্থানগড়ে যাবার পথে মহাস্থানের কয়েক কিমি আগেই এই আলোচিত বেহুলার বাসরঘর। বগুড়া শহর থেকে বাস অথবা সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে আপনাকে নামতে হবে গোকুল বাজারে। অথবা মহাস্থানগড় আগে ভ্রমন করলে, মহাস্থান থেকে স্কুটার, রিক্সায় গোকুল বাজারে আসতে পারবেন। তারপর সেখান থেকে ভ্যান অথবা রিকশায় অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারবেন বেহুলার বাসরঘরে। রাতে থাকতে চাইলে ফিরে আসতে হবে বগুড়া শহরে। কেননা, এ এলাকার আশপাশে কোনো হোটেল বা মোটেল নেই।
✔ প্রেম যমুনার ঘাট, সারিয়াকান্দীঃ
সময় থাকলে সিএনজি করে যাবেন সারিয়াকান্দিতে। বগুড়া থেকে ২২ কিমি পূর্বে। এখানে যমুনার বাঁধে বসতে পারেন। গেলে যাবেন "প্রেম যমুনার ঘাট"-এ। এটাই সবচে সুন্দর ঘাট। এখানে নৌকায় চড়ে যমুনার বুকে বেড়াতে পারেন। চর থাকলে সেখানে নেমে গোসলও করতে পারেন। আর যাবার আগে বগুড়া থেকে প্যাকেট লাঞ্চ নিয়ে গেলে চরে পিকনিক পিকনিক আবেশ পাবেন।
প্রেম যমুনার ঘাট (ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ফেসবুক পেজ-প্রেম যমুনার ঘাট)
✔ কেনাকাটা---সাতমাথায় নিউমার্কেট, নবাব বাড়ি রোডে আলতাব আলী সুপার মার্কেট, আল আমিন কমপ্লেক্স , দত্তবাড়িতে জামিল শপিং সেন্টার আর জলেশ্বরীতলায় অনেক ছোট ছোট শপিং মল আর সুপার ষ্টোর আছে। এছাড়া হকার্স মার্কেটেও কমদামে অনেক কিছু কিনতে পারবেন। পাশেই রেললাইনের ঊপড় অস্থায়ী 'হঠাৎ মার্কেট' থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন।
বগুড়া নিঊ মার্কেট (কৃতজ্ঞতা-আমিনুল)
আল আমিন কমপ্লেক্স (ছবি-বগুড়াসিটিডটকম)
আলতাব আলী মার্কেট (ছবি-বগুড়াসিটিডটকম)
BCL সুপার মার্কেট (ছবি-বগুড়াসিটিডটকম)
TMSS মার্কেট (ছবি-বগুড়াসিটিডটকম)
জামিল শপিং সেন্টার
আরো দেখতে পারেন এখানেঃ শপিং সেন্টার আর অ্যাপার্টমেন্টের শহর বগুড়া
✔খাওয়া দাওয়াঃ
আকবরিয়াতে ফালুদা খাবেন। কলোনি বাজারের কাছে চুন্নু ভাইয়ের দোকানের চাপ খাবেন। এই চাপ কোন অংশেই মোস্তাকিমের চাপের কম নয়। রাস্তার পাশে বসে হরেক রকম কাবাব খেতে পারেন। কোয়ালিটিতে (সাতমাথায়) বিরানি খাবেন। সারাজীবন মুখে লেগে থাকবে।যদি কম খরচে এবং ভেরিয়েশেনের খাবার (যেমন সকল ভর্তা, কবুতর, বক, বিভিন্ন পাখির মাংস ইত্যাদি) খেতে চান তাহলে যাবেন ২নং রেলগেট সংলগ্ন সেলিম হোটেলে। এছাড়া হোটেল শ্যামলী, হোটেল আকবরিয়া, সেলিম হোটেল প্রায় সব ধরনের আইটেমের খাবার পাবেন
আকবরিয়াতে ফালুদা খাবেন। কলোনি বাজারের কাছে চুন্নু ভাইয়ের দোকানের চাপ খাবেন। এই চাপ কোন অংশেই মোস্তাকিমের চাপের কম নয়। রাস্তার পাশে বসে হরেক রকম কাবাব খেতে পারেন। কোয়ালিটিতে (সাতমাথায়) বিরানি খাবেন। সারাজীবন মুখে লেগে থাকবে।যদি কম খরচে এবং ভেরিয়েশেনের খাবার (যেমন সকল ভর্তা, কবুতর, বক, বিভিন্ন পাখির মাংস ইত্যাদি) খেতে চান তাহলে যাবেন ২নং রেলগেট সংলগ্ন সেলিম হোটেলে। এছাড়া হোটেল শ্যামলী, হোটেল আকবরিয়া, সেলিম হোটেল প্রায় সব ধরনের আইটেমের খাবার পাবেন
✔বগুড়ার দইঃ
(দই এর দোকানগুলির অবস্থান)
দই কিনবেন---অবশ্যই কিনবেন এশিয়া সুইটস থেকে (সাতমাথায়)। এশিয়ার দই দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায় তাই আগেই কিনবেন। এশিয়ার সাদা দই বেশ বিখ্যাত। তা না হলে মহররমের দই নেবেন। এছাড়া মহররম আলীর দই, দইঘর এর দই, রফাত-র দই, সেলিম হোটেল, শ্যামলী রেষ্টুঃ এর দই , আকবরিয়া-র দই, চিনিপাতা দই, মিষ্টিমেলার দই, রুচিতার দই কিনবেন। একেকটার একেক স্বাদ। গৌর গোপালের সাদা দই পেলে কিনবেন (সবসময় পাওয়া যায় না)
মহররম আলী দই ঘর এর শোরুম (ছবি কৃতজ্ঞতাঃ ব্লগার রোহান)
দই এর পাশাপাশি এশিয়া সুইটস, মহররম আলীর দইঘর, দইঘর, সেলিম হোটেল, শ্যামলী রেষ্টুঃ , আকবরিয়া-র হোটেল, মিষ্টিমেলাইয় নানান ধরনের মিষ্টি কিনতে পারবেন। এছাড়া হরেক রকমের মিষ্টির দেখা পাবেন বগুড়ায়।
এশিইয়া সুইটস এর মিষ্টির বাহার [ছবিঃ শ।মসীর]
বগুড়ার দই আর আরো ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুনঃ ফেসবুক ফ্যানপেজ-বগুড়ার দই
আশা করি এসব তথ্য নিয়ে আপনার বগুড়া ভ্রমন আরামদায়ক এবং স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
কৃতজ্ঞতাঃ সামুর ব্লগার জর্জিস মূলত ওনার কমেন্টকে বেজ ধরেই এই পোষ্টকে সাজিয়েছি, এছাড়া ব্লগার অপ্সরা, ব্লগার রোহান, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক আমারদেশ, ফয়সল কবীর শুভ, মেহেদী হাসান সাদিব, জুনায়েদ, ওএমএস নিউজ, সাপ্তাহিক ২০০০, ফেসবুক পেজ-হামড়া বোগড়োর ছোল, ফেসবুক পেজ-প্রেম যমুনার ঘাট বগুড়াসিটি.কম, মাইনিউজপেপারকাটডটব্লগস্পট-এর নিকট কৃতজ্ঞতা রইলো ছবি-তথ্যের জন্য। এরপরেও যদি কারো নাম বাদ পড়ে যায় আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
(পোষ্টটি শেয়ার করতে পারেন, তবে এই পোষ্টের লিংক দিবেন অবশ্যই)
২২টি মন্তব্য:
nice job
zico
I'm impressed... at least from abroad, i never thought that i could see my own Bogra..I really miss my own city. Nice, very nice..Many thanks to Mr.MUKUT
@sayadath, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। বগুড়ার সন্তান হিসাবে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস, সবার জন্য। চেষ্টা করেছি দরকারী তথ্যগুলির সন্নিবেশ করতে। সামনে আরো আপডেট করবো, যেমন ধরুন হোটেলগুলির ফোন নাম্বার। আমি নিজেই দেশের বাহিরে।
বাংলা ব্লগগুলিতে লেখালেখি কিছু অভ্যাস আছে, ঐখানেই দেখতাম অনেকেই বগুড়া যাবে কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য তাদের কাছে নেই।
আবার ফেসবুকে 'বগুড়ার দই' এর পেজে এক আপু বগুড়া নিয়ে জানতে চাইলেন, আগামী বছর দেশে আসবেন, তখন যাবেন বেড়াতে, ওনাকে তথ্য দিতে গিয়ে ভাবলাম, সবকিছু এক জায়গায় নিয়ে আসি। ধন্যবাদ আপনাকে
@jinnat, It is a small step to introduce my sweet BOGRA with others. I will be glad if this post encourage others to visit BOGRA. thnx
great job mukut vai, really nice, makes me go back to my lovely bogra again and again, keep up your great work,always appreciate your fantastic works. take care
thanks tanvir vai
অনেক ভাল লাগল।
পড়ে মনে হল দিব্যি বগুড়া ঘুরে এলাম।:)
ধন্যবাদ পড়ার জন্য, আশা করি খুব শীঘ্রই বগুড়া ভ্রমন এর সুযোগ হবে আপনার। সেই ভালোলাগা শোনার অপেক্ষায় রইলাম
I just love my Bogra..!
thnx mahin
Good work. If possible write more upon Behula
@ MR.MUKUT.....chobi gulor majhe Zilla school-er chobi dekhe vebechilam je, amar school-er(VM) ekta chobi thakbe,kintu pelam na. SO if possible, plz upload one photo of my school, though i know,VM school is not a visiting place but ofcourse it was young boys favorite school to talk about... :))
@Rezowan and Jinnat, thanks. Actually I am out of BD. I will try to update
আমেরিকায় বসে আমার দেশটাকে দেখেতে পারলাম,সাত মাথা মোড় আমার দাদা বাড়ি অসাধারন এই ওয়েবপেজটি যারা তৈরি করেছেন তাদের আন্তরিক সাধুবাদ জানাই- মুক্তাদীর (Virginia,USA)Phone- 001-571-215-4173 E-mail- engrmuktadir@yahoo.com
আমাকে মেইল করতে পারেন বা ফোন করতে পারেন যেকোন প্রয়োজনে,সবাইকে আন্তরিক শুভেচছা|
@শাহ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্লগ, আপনার মত বগুড়ার সন্তান আমিও। নিজের জেলা শহরের প্রতি যে দায়বদ্ধতা থেকেই এই লেখা। এছাড়া ফেসবুক পেজঃ বগুড়ার দই এ মাঝে মাঝেই অনেকেই বগুড়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, এছাড়া আমি ব্লগিং এ জড়িত বিভিন্ন বাংলা ব্লগে, সেখানেও অনেকেই বগুড়া ভ্রমনে যাওয়ার জন্য টুকিটাকি তথ্য জানতে চেয়ে পোষ্ট দিতেন, এসব ভাবনা থেকেই এই লেখার জন্ম। আপনাদের সবার কাজে লাগলেই আমার শ্রম স্বার্থক। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো।
আমি কলকাতার মানুষ, বাংলাদেশ বেড়াতে গেলে ভ্রমণ তালিকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ ও সুন্দরবন অবশ্য্যই রাখতে চাই। এর ওপরে ঠিক এভাবেই আলোকপাত করুন না ভাই, যেভাবে ভালবেসে বগুড়াকে সামনে এনেছেন। মনে হচ্ছে আমি এ লেখার প্রিন্ট নিয়ে চোখ বুজে বগুড়া ঘুরে আসব। ওপাড় বাংলার মানুষজনেদের স্বদেশপ্রীতি সত্যি ঈর্ষনীয়।
@manjusri, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। বগুড়া আমার নিজ জেলা, এজন্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্যাদি দিতে পেরেছি, কিন্তু এভাবে অন্যজেলারটা দেওয়া সম্ভব না, কারন আমি নিজেই ওসব এলাকায় যাই নি। তবে ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে দেশে ৬৪টি জেলা নিয়ে এভাবে ভ্রমন বান্ধব করে লেখার। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
১।গাড়ি ভাড়া নবায়ন করা দরকার ,
২।আরও সুন্দর ছবি চাই ।
পোস্টটা জটিল হয়েছে, আপনি এত কষ্ট করেছেন ভাই, অন্তর থেকে দোয়া রইল ভাই আপনার জন্য ।।
রাকিব, পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে প্রবাস জীবন যাপনের জন্য সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে পারছি না, বন্ধুরা কিছু সাহায্য করছে, এজন্য একটু ধীরে এগোতে পারছি, দেশে যাব শীঘ্রই এরপর আশা করি আরো হালনাগাদ করতে পারবো
এক পৃষ্টায় বগুড়া ভ্রমন বিষয়ে এত কিছু সত্যিই অনেক ভাল। শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ নবীণ আপনাকে :)
মহাস্থানে যাবো, কম খরচে কই থাকা যায়???
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন