শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০১০

স্মৃতিতে শহীদ স্মৃতি হল!

 এটা বুয়েটে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত ছাত্র প্লাস বুয়েটের লেকচারারদের থাকার একটা হল।এই হলটিতে মোট ৩টি ব্লক র‌য়েছে, ১ম ব্লকটি বুয়েটের লেকচারারদের জন্য, আর বাকি দুইটি বুয়েটের লেকচারার ব্যতিত যারা এখানে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন তাদের জন্য! এইতো সেদিনও হলে ছিলাম, খুবই মজা হত ঐ হলে থাকার সময়। এইচ, এচ, সি পাশের পর সব বন্ধুরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও এই হলে ওদের অনেককেই পেয়েছি! এই হলটি হল বিএসসি পাশের পর একটা মিলনক্ষেত্র! এখনও ঢাকায় গেলে
হলটিতে যাই পরিচিতদের সাথে দেখা করতে! এটা এমন একটা লাকী হল যে, এখন পর্যন্ত কোন অভাগা এই হল থেকে চাকুরী না নিয়ে হল ত্যাগ করে নাই :)। হয়ত তার ডিগ্রী হয় নি কিন্তু ঠিকই চাকুরী নিয়ে হল ছেড়েছে! বিএসসি পাশের পর সবারই (যারা দেশের বাহিরে পড়াশুনা করতে চান তারা ছাড়া) প্রায় টার্গেট তাকে বুয়েটে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে এই হলে একটা সীট নেবার। কারন ঢাকায় চাকুরী এবং সেইসাথে এই হলের একটা সীট থাকলে তার মত মনে হয় ব্যাচেলর লাইফে কেউ সুখী হতে পারে না! অবশ্য বুয়েটে স্নাতকোত্তর এ ভর্তি হলেও আসলে টার্গেট থাকে একটা চাকুরী ধরে থাকার একটা ভালো বন্ধবস্ত করা! এজন্যই এই হল জীবনে দেখেছি ভর্তির শতকরা কত সামান্য অংশের ডিগ্রী হয়! অবশ্য চাকুরীও একটা ফ্যাক্টর, কারন প্রাইভেট জব করে বা জবে যদি স্নাতকোত্তর তেমন কাজে না লেগে তখন এমনি এর প্রতি অমনযোগীতা আসে, আর যারা এখানে টিচিং প্রফেশন থেকে আসেন তাদের সবাই ডিগ্রী শেষ করেন!

যাহোক, আমি ডিগ্রী শেষ করার আগেই এই হল ত্যাগ করলেও এটা এখনও আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে! আর এছাড়া এই হলটিও আমার জন্য লাকী, কারন হলে থাকা অবস্থায় আমি চাকুরীতে জয়েন করেছি! আপনাদের জন্য এই হলের ছবি শেয়ার করলাম!

(২৮ শে মার্চ, ২০০৮, ঢাকা)


Share/Bookmark

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

^ Back to Top