গোছালপন!! হ্যাঁ বগুড়ায় আঞ্চলিক ভাষায় আমরা গোছালপনই বলি। এটা আসলে এক ধরনের খাওয়ার অনুষ্ঠান, যা প্রতিবছর জমিতে ধান লাগানোর সময় পালিত হয়। যেদিন জমিতে প্রথম ধানের বীজ বপন (বীজতলা থেকে অংকুরিত ধান গাছ এর চারা জমিতে লাগানোর দিন) করা হয় সেদিন যেসকল কৃষক বীজ বপনে অংশগ্রহন করে, তারা ঐদিন রাতের খাবার গৃহস্থের বাড়িতে খায়। বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে, সবকৃষক গৃহস্তের উঠানে বা বারান্দার সারিবদ্ধভাবে বসে রাতের খাবার গ্রহন করে। এখানে শুধু কৃষক একাই আসে না, অনেক সময় তারা তাদের বঊ-বাচ্চাকেও নিয়ে আসে এই গোছালপনে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও হয়ত এটা প্রচলিত, কিন্তু আমি নাম জানি না। খাবারের আইটেমে অবশ্যই থাকবে ক্ষীর, পিঠা, মুড়ি এর সাথে ভাত, মাছ-মাংসের তরকারী। তবে গৃহস্থের সামর্থ্যের ভিত্তিতে খাবারের আইটেমে বৈচিত্রতা আসে। ঐ সময় যে ফলমূল এর সময়, সেই ফলগুলিও পরিবেশ করা হয়। আম-কাঠালের সময়ে আম-দুধ বা কাঠাল দিয়ে দুধ ভাতের ব্যবস্থাও থাকে। তবে মূল তাৎপর্য্য হলো পারস্পারিক সম্প্রীতি, গোছালপনের অংশগ্রহনের মাধ্যমে গৃহস্থ ও কৃষকের মাঝে ব্যবধান কমে চমৎকার এক মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। গোছালপন আমাদের গ্রামীন সংস্কৃতি ও জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
টোকিও, জাপান
৩১শে জুলাই
.
.
শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০১০
গোছালপনঃ এক গ্রামীন সংস্কৃতি!
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
২টি মন্তব্য:
আজ ভালো লাগল।
ধন্যবাদ। যাক খাটাখাটুনি তাহলে বৃথা যায় নি :)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন