ছুটি পেয়ে অনেকদিন পর বেশ মজা করে রান্না করলাম। এজন্য আজ আংশিক রান্নার গল্প না, রাইসের সাথে সবজির আইটেম থাকবে।
আজকের মেন্যু আইটেম হলোঃ আন্ডা ফ্রাইড রাইস উইথ মটরশুটি এবং চিংড়ির সবজি।
প্রথমে ফ্রাইড রাইস দিয়ে শুরু করা যাক, যা যা লাগবেঃ
✓পোলাও এর চাল ✓পিয়াজ ✓গরম মসলা ✓ সোয়াবিন তেল
✓মটরশুটি ✓আদা-রসুন পেষ্ট ✓ লবন ✓ কাঁচা মরিচ
✓ আন্ডা (২৫০গ্রাম চালের জন্য ৩টাই যথেষ্ট)
কাজের শুরুতেই পোলাও এর চাল পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরতে দিন। এবার সসপ্যান চুলায় দিয়ে চালু করুন, হাল্কা তাতিয়ে উঠলে এবার সোয়াবিন তেল ঢালুন (তেল কম খাওয়া ভালো, সুতরাং যা না দিলে নয় এমন পরিমান দিন)। চুলার আগুন কমিয়ে দিন, যাতে ধোয়া না হয়, এবার পেয়াজ কুচি কুচি করে কেটে নিন। অন্য চুলায় পানি গরমে করতে দিন (পানির পরিমান= চালের পরিমান এর দেড়গুন)। তেল বাদামী ভাব আসলে পিয়াজ ঢেলে দিন। হাল্কা নাড়তে থাকুন, এবার গরম মসলা, কাঁচা মরিচ (ঝাল যেমন পছন্দ করেন সেই রকম দিন) দিয়ে ভাজা ভাজা করুন। এই ফাঁকে মটরশুটি ধুয়ে নিন। সসপ্যানের মিশ্রনে এবার আদা-রসুন পেষ্ট দিন ২চা চামুচ করে। মিশ্রণ বাদামি ভাব হয়ে আসলে পানি ঝরানো চাল ঢেলে দিন। পরিমান মত লবন দিয়ে ভালো করে নাড়ুন যাতে পিয়াজ-মসলার মিশ্রনের সাথে চাল সুন্দরভাবে মিশিয়ে যায়। এবার গরম পানি ঢেলে দিন। সামান্য নেড়ে ঢাকনি দিয়ে ঢেকে দিন। চুলার আচ ৫/৭মিনিট স্বাভাবিকে রেখে কমে দিন, যাতে নিচে লেগে না যায়। এবার মটরশুটি দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন সাবধানতার জন্য, যাতে লেগে না যায়,বেশি নেড়ে আবার জাঊ বানিয়ে ফেলবেন না।
এবার ডিম ফেটিয়ে নিন, এতে কোন কিছু মিশাবেন না, ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেলে দিয়ে চুলায় দিন, তেল সামান্য তেতে উঠলে এবার ফেটানো ডিম ঢেলে দিন, এরপর চামুচ দিয়ে বারে বারে নাড়তে থাকুন যাতে ডিম ঝুরি ঝুরি হয় নিচের ছবির মত।
ফ্রাইড রাইসের কথা মনে আছে? দেকুন আবার লেগে গেল কিনা? নরম ভাব না গেলে ঢাকনা খুলে দিন, মাঝে মাঝে নাড়ুন যাতে পানি কমে গিয়ে ঝরঝরে ভাব আসে। কারন পানি পানি ভাব থাকলে দেখতেও ভালো লাগে না, খেতেও ভালো লাগবে না। এজন্য ঢাকনা তুলে দিয়ে নাড়তে হবে মাঝে মাঝে। তবে একেবারে আগেই শুকিয়ে নেয়া যাবে না। কারন ডিম দিতে হবে। মোটামুটি নিচের ছবির মত অবস্থায় আসলে এবার আপনার ফ্রাইড রাইস এ ডিম মেশাতে পারেন।
এবার ঝুরি করা ডিমগুলি ফ্রাইড রাইসে দিয়ে দিন, হালকাভাবে নাড়ুন যাতে সুষম মিশ্রন হয়, সেই সাথে রাইসের এর সাথে থাকা পানিও শুকিয়ে রাইস ঝরঝরে হয়ে পড়ে। ডিমের পরিমান যত বেশি হবে, রাইসের আঊটলুক তত ভালো হবে।
এ পর্যন্ত বকরবকর যদি ফলো করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার রান্না করা ফ্রাইড রাইসের চেহার নিচের ছবির মত হবে
এবার আসুন আজকের ফুল প্যাকেজ রান্না ২য় পর্বেঃ চিংড়ির সবজি।
যা যা লাগবেঃ
যত বেশি রকমের সবজি ব্যবহার করবেন তত বেশি স্বাদ এবং বর্ণীল হবে রান্নার পর।
✓চিংড়ি ✓আদা-রসুন পেষ্ট ✓পেয়াজ ✓ কাচা মরিচ ✓গরম মসলা
✓ সোয়াবিন তেল ✓লবন ✓১টা ডিম✓গাজর ✓ মটরশুটি
✓ফুলকপি ✓বরবটি ✓আলু ✓ বেগুন (আরো দিতে পারেন )
এবার সবজিগুলি পানিতে ধুয়ে চারকোনা করে মোটামুটি সমান সাইজে কেটে নিন, সেই সাথে সসপ্যানে তেল দিয়ে চুলায় দিন। পেয়াজ কুচি করে কেটে তেল হাল্কা বাদামি হয়ে আসলে ঢেলে দিন। এরপর গরম মসলা, মরিচ, আদা-রসুন পেষ্ট দিয়ে নাড়ুন। এবার সবজিগুলি ঢেলে দিন। ভালোভাবে নেড়ে দিন যাতে সবগুলি একসাথে সুষমভাবে মিশ্রিত হয়। ১৫০মিলি পানি দিয়ে আর একটু নাড়িয়ে ৪/৫মিনিট পর চুলা একেবারে কমে দিয়ে ঢেকে দিন। ৭/৮ মিনিট আর ওদিকে খেয়াল না করে এবার চিংড়িগুলি ধুয়ে নিন। চিংড়ি মাঝাড়ি সাইজের হলেই ভালো। এতক্ষনে সব্জির ভালোভাবে মাখামাখা হয়ে যাওয়ার কথা। যদি পানি পানি ভাব থাকে তাহলে ঢাকনা খুলে রাখুন, আস্তে নাড়ুন যাতে সব গলিয়ে না যায়। ডিম ভেঙ্গে ঢেলে দিন সসপ্যানে একটু পর চিংড়ি মাছ দিয়ে নেড়ে দিন। ডিম দিলে স্বাদটা একটু স্পেশাল হবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে আগের মতই সামান্য আচে চুলা রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন সবজি যেন তলায় না লেগে যায়। মিনিট দশেক পরে চুলা অফ করে দিন। আরো মিনিট দশেক ঢাকনা বন্ধ রাখুন। আশা করা যায় নিচের ছবির মত সবজি রান্না হবে যদি কোন সমস্যা না হয়
এবার আন্ডা ফ্রাইড রাইস আর চিংড়ির সবজি প্লেটে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন।
১০টি মন্তব্য:
ছবি দেখে ক্ষিদে লেগে গেল । খেতে দারুন মজা হয়েছে তাই না
:-) খারাপ হয়নি খেতে ;)
aponi to siddika kabir er vat marben???
aponi to siddika kabir er vat marben???
হা হা হা, সিদ্দীকা কবির আর কত?
কেমন যাচ্ছে মুকুট ভাই ?
-মেহেদী।
এইতো ভাই আছি আলহামদুলিল্লাহ, কিছুটা অসুস্থ, দোয়া করবেন। ভালো থাকুন
মুকুট ভাই দোয়া করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
আপনিও ভালো থাকুন নিরন্তর।
-মেহেদী
নাহ!!!!! যেমন টা চাচ্ছিলাম তেমনটা পেলাম না।
স্যরি ভাই, আমিতো প্রফেশনাল নই, প্রবাসে থাকাকালীন ঠেকায় পড়ে নিজেই রান্না করে খেতে হয়েছে, সেখান থেকেই টুকটাক লেখা। বেশি আশা করা উচিত নয় হাতুড়ে রান্নাকারীর কাছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন