বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০১০

জাপানের ডায়েরী-২!

আবারো সেই ইংরেজী! গতপরশু প্রথমবারের মত জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাসে গেলাম! পেলাম ৪/৫জোন চাইনিজ, ১জন সিঙ্গাপুরিয়ান, ১ জন কোরিয়ান আর আমি সহ ২জন বাংলাদেশী! যে ভলেন্টিয়ার আমাদেক নূন্যতম চলার মত জাপানিজ শেখাবেন ওনার নাম হাশিমোতো! স্মাইলি চেহারা, কিন্তু ইংরেজীর বহর তেমন না! সবচেয়ে মজার কথা হলো, ক্লাসে এসেই সে যা বলল তা হোলো নো ইংলিস?? ইংরেজীই যদি না বলি তাহলে বেটার ওর সাথে কথা বলব কিভাবে?? এই হল অবস্থা! যাহোক প্রথম ক্লাসে জাপানিজ অক্ষরগুলো দেখে সবকিছু `আজ রবিবার` নাটকে জাহিদ হাসানের ডায়ালগের মত `হিজিবিজি হিজিবিজি` লাগছিল! যাহোক হাশিমোতো আর চাইনিজদের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত জাপানিজ অক্ষরগুলোর একটা সাইজে আনতে পেরেছি, আর ক্লাসটাও প্রানবন্ত লাগছে
এবার আর একটা ঘটনা! আমার ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের সাথে ইতো ইয়াকাদো নামে একটা ৪তলার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর আছে! সবই আছে, কিন্তু যেটা থাকা জরুরী সেটাই নাই, তা হল ইংরেজী! পুরা ষ্টোরের কোথাও ইংরেজী নাই! কি নোটেশন কি প্রডাক্ট নেম! সুতরাং পন্য দেখে চিনলে কেনা ছাড়া উপায় নাই! ফলে আমার এখানে এক বাংলাদেশী চিনি আনতে গিয়ে এনেছিলো লবন! ;) এছাড়া সেলসম্যানরা কেউই ইংরেজী জানে না! আবার যেটুকু জানে তাও হলো জাংলিস, মানে জাপানিজ ইংলিস, আপনাকে সেটার মর্ম উদ্ধার করতে গেলে দাঁত ভেঙ্গে যাবে! এবার আসল কথায় আসি, আমি আর এক বাংলাদেশী ২জন মিলে গেছি সেই ইতো ইয়াকাদোতে, কিনবো কলিং কার্ড! বিদেশী খুজছিলাম, যাতে ইংরেজীতে জানতে পারি কই পাব! কিন্তু চোখে পড়ছে না, শেষে এক সেলসম্যানকে বললাম, কলিং কার্ড কিনবো! পাবো কি? ওর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হলো, কোন এলিয়েন ওরে প্রশ্ন করেছে, যার কিছুই সে বুঝছে না! কোনভাবেই বোঝাতে পারছিলাম না! আমার সাথের ঐ বাংলাদেশী আগেও একবার ৬মাসের ট্রেনিং এ জাপানে এসেছিলো, তাই সে তার সব জ্ঞান প্রয়োগ করেও যখন কলিং কার্ড বুঝাতে পারছিলাম না! তখন মনে পড়ল বাংলালিঙ্কের সেই ১ম দিকের বিজ্ঞাপনের কথা! তখন আমি হাতটা রিসিভারের মত মুখের কাছে এনে বললাম কলিং কার্ড, তখন সে আঁচ করতে পেরে বললো ও কুলিং কার্দো :P, এরপর সে নিয়ে গেলো নিচতলায় ফোন বুথে যেখানে নির্দিষ্ট ইয়েন প্রেস করলে সমপরিমানের কলিং কার্ড আসে! আজ এ পর্যন্তই!

(১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮)
Share/Bookmark

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

^ Back to Top