বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০১০

জাপানের ডায়েরীঃ আলু ভর্তা

এবার মনে হয় খাবার নিয়ে আবার আপনাদের সাথে শেয়ার করা যায়! উত্তরবঙ্গে সাধারনত আলু বেশী খাওয়া হয়, আর আমার দেশের বাড়ি বগুড়ায় হওয়ার আমিও এর ব্যতিক্রম না! বাড়িতে আলুর সিজনে আলুর রকমারী খাবারের মেনু থাকত! আর আলু ভর্তা সম্ভবত সবারই প্রিয়! আজকের প্যাঁচালটা এটা নিয়েই! আমরা বাংলাদেশে যেমন সের/কেজি এসবে কিনে অভ্যস্ত জাপানে এসে প্রথম কেনাকাটা করতে গিয়েই ধাক্কা খেলাম! বেশীর ভাগ পণ্যদি পিস অনুযায়ী বিক্রি হয়! বিশেষ করে মাছ, মাংস আর সবজী! এখানে এসে যা বুঝলাম সবচেয়ে বেশী দাম হল রসুন আর আলু! আমাদের দেশে আলু নিয়ে কৃষক থাকে বিপাকে যে ফসলের দাম উঠবে কিনা, আর এখানে অনেক বেশী দাম।

প্রবাস জীবনের ১ম আলু ভর্তা
এমন হয়েছে যে আমাদের বগুড়ায় আলুর দাম প্রতি মন ৮০/৯০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে! আর এখানে??? ৪পিস আলু সম্ভবত ১/২কেজির একটু বেশী হবে, দাম মাত্র ১৫৮ইয়েন! মানে বাংলাদেশী টাকায় ৯০টাকার বেশি! হাসুম না কাদুম, বগুড়ার ছেলে হয়ে ৪পিস আলু কিনলাম এটো বেশী দামে, ভাবছি আর ভাবছি! যেখানে এই টাকায় এখন সম্ভবত ৫কেজির বেশী আলু কেনা যাবে! যা হোক, আলু দেখেই ভর্তা খেতে মন চাইলো! সিদ্ধ করার পরতো দেখই আক্কেলগুড়ুম! আমাদের দেশে উৎপাদিত আলুর মত এই জাপানী আলু আঠালো না, বালুর মত, ফলে সিদ্ধ করে ভর্তা করার পর তা একসাথে না থেকে ছড়িয়ে পড়ছিলো, অদ্ভুদ সে চেহারা! তবে যাই হোক আলু ভর্তাতো খেলাম, আরকি!:P


(২৮ শে অক্টোবর, ২০০৮)
Share/Bookmark

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন