জাপান নিয়ে আমার ৫ম কিস্তিটা হবার কথা ছিলো আমার এখানে মোবাইল ফোন নেয়া নিয়ে, কিন্তু কালকের একটা স্বল্পমাত্রার বিপদ ঘটায় আজ ঐটা নিয়েই লিখছি!
আমি সাধারনত সকাল বেলাই দুপুর আর রাতের জন্য রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই, শুধু খাবার সময় ওভেনে গরম করে নেই! কাল জাপান সময় প্রায় রাত ৯.৪৫এ রুমে গেলাম, ক্ষুধা এতো বেশি লেগেছিলো যে ওভেনে খিচুড়ি আর গরম করতে ইচ্ছা করছিল না, অগত্যা ওভাবেই খাওয়া শুরু করলাম, কিন্তু ক্ষুধা থাকলেও কেমন জানি লাগছিলো, তাই প্লান
করলাম কিছু ক্যাটালিষ্ট

যোগ করতে হবে খাবারে, তাই ডিম ভাজতে গেলাম! ডিম আর দরকারী আইটেম যোগ করে চুলায় দিছি, ভাজি করা প্রায় শেষ আমি ভাবলাম একটু বেশী হিট হোক, খেতে ভালো হবে, এই ভেবে আমি কি যেন আনতে গেছি, একটু পর দেখি প্রচন্ড শব্দে সাইরেন বাজছে, আমি রুমের মেইন দরজা খুলে দেখি আমার ২টা রুম পরেই সাইরেন বাজছে, আমি ভাবছি কোথায় সমস্যা সম্ভবত! দরজা লাগিয়ে দেখি আমার রুমে ধোয়াশা হয়ে গেছে আর রুমের স্মোক ডিটেকটর রেড সিগন্যাল দিচ্ছে

তখন বুঝতে আর বাকি রইলো না সাইরেন কেন বাজছে! তাড়াতাড়ি ডিম আমি নামালাম চুলা থেকে, আসলে আমি তেল দিয়েছিলাম কম, ফলে হিটে তেল শুকিয়ে যাবার পর ধোয়া উঠা শুরু করেছে! ডিম আর পুড়ে যায় নাই! আমি এরপড় ব্যালকনির দিকের দরজা খুলে দিলাম আর রুমের এসি চালু করে দিলাম, একটু পর দেখি সিকিউরিটি রুমে চলে এসেছে, একেতো ভয়ে ছিলাম সাইরেন বাজছে কি যে ভ্যাজাল করবে এরা, ওদের আসা দেখে মুখ আরো গেলো শুকিয়ে! আর বেটারা এসেই-
কোঙম বাঙ ওয়া(মানে শুভ সন্ধ্যা)দিয়ে শুরু করল!
এরা যেমন জাপানীজ ছাড়া কিছু বলতে পারে না, তেমনি মনে করে সবাই জাপানীজ বুঝে! তাই যারেই দেখে হড়হড় করে জাপানীজ ভাষা ঢেলে দেয় 

চিন্তাও করে না যে এরা ফরেনার নাও জানতে পারে জাপানীজ! এই চরম দুঃখেও হাসি এসে যায় এদের এমন কাজকর্মে! তারপর আবার জাপানীজ ঢাললো আমার উপড়ঃ
নামওয়া>>মানে নাম কি? বললাম, টুকে নিলে ফরমালিটিস হিসাবে। যা হোক এসে চেক করে দেখল এক্সস্ট ফ্যান আর এসি ঠিক আছে কিনা! পরে আবার যথারিতী জাপানীজে বিদায় সম্ভাসন ঢাললেন একগাল হেসে(হাসি অবশ্য বাঙালী বাঙালী ছিলো



) যাহোক ততক্ষনে আমার ক্ষুধা ফাইনাল স্টেজ অতিক্রম করেছে! শেষে এত্তো কিছু ঘটনার পর খাবার খেয়ে কম্বলের মাঝে বিছানায় নিদ্রাদেবীর কাছে সমর্পন করলাম!

(২৩ শে অক্টোবর, ২০০৮ )

জাপানের ডায়েরী-৫!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন