শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০১০

জাপানের ডায়েরীঃ বাচ্চাদের সাথে স্কুলে

প্রথমেই ধন্যবাদ দেই, যে সকল ব্লগার আমার আহবানে সাড়া দিয়ে ছবি পাঠিয়েছেন। অসংখ্য ছবি পেয়েছিলাম, পরে বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম! যাহোক অবশেষে ৩২টা ছবি সিলেক্ট করেছিলাম, ভাবছিলাম পরে আরো যোগ করব, কিন্তু আর সময় করে উঠতে পারি নাই! ফলে সবারই ছবি নিতে পারি নাই, এজন্য দুঃখিত! আমার ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশকে স্কুলের বাচ্ছাদের কাছে একটু হলেও ধারনা দেয়া, যা আমি করতে পেরেছি সামান্য কিছু ছবি দিয়ে, তবে ধন্যবাদ, আপনাদের এমন সহযোগীতা, আর ছবি দেবার জন্য! যা হোক আজকের বিবরন দেইঃ



সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম! পৌঁছেই আমাদেরকে হালকা নাস্তার পর জিমনেশিয়ামের মঞ্চ এ নেওয়া হল। বাচ্চাদের সাথে পরিচিয় করে দেবার পর, কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব চলল! এরপর আমাদেরকে (মোট ১৪জনঃ বাংলাদেশী, চাইনিজ,অস্ট্রিয়ান, ভেনিজুয়েলিয়ান) ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন ক্লাসে পাঠানো হল! প্রথমে যে ক্লাসে গেলাম অনেক বাচ্চাকাচ্চা! আমি একাই ছিলাম ফরেনার হিসাবে, সাথে একজন ইন্টারপ্রেটর। বাচ্চারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইলো, আমি তখন ঐ ছবিগুলো ওদেক বুঝিয়ে দিলাম! ছবিগুলোতে ছিলো বাংলাদেশের ম্যাপ,পতাকা, শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, জাতীয় সংসদ, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা/প্যাগোডা, খাবারের ছবি, পোশাক, রাস্তাঘাট, মাছ ধরা, কক্সবাজার সমূদ্র সৈকত.............মোটামুটি চেষ্টা করেছি সামান্য সময়ে বাংলাদেশকে চেনাতে, দেখলাম ওদের মনে ধরেছে, পিচ্চিরা ক্লাস থেকে বেরুনোর সময় বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করতেছে.............এটা শুনেই ভালো লাগছিলো, যে কিছুটা হলেও ওদের মনে বাংলাদেশকে আনতে পেরেছি। পরে দেখলাম বাকি ফরেন স্টুডেন্টরাও আফসোস করলো, কেন ওদের দেশের জন্য এমন আনে নাই! লাঞ্চের পর আবার আরও একটা ক্লাসে গেলাম, সেখানেও ছবিগুলো দেখলাম ওদের মনে ধরেছে। পরে আসার সময় আমি এককপি স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে এসেছি............!! আজকের আড্ডার কিছু ছবি আপনাদের জন্য!!!


(জিমনেশিয়ামের স্টেজে বিদেশী অতিথীদের স্বাগতম ও বরন করা হচ্ছে)

(আমাদের কাছে বাচ্চাদের কিছু জিজ্ঞাসা)

(জিমনেশিয়াম থেকে বের হবার সময় অতিথিদের জন্য ফুলের গেট)

(জিমনেশিয়াম থেকে বের হবার সময় অতিথিদের জন্য ফুলের গেট)

(সারাক্ষন আমার হাতধরে ঘুরেছে লিটল ম্যান, শেষে একখানা ছবি তুললাম ওর)

(মাঠে খেলার সময়)

(খেলার ক্লান্তিতে একটু বিশ্রাম)

(আমাদের জন্য খাবারের আয়োজনঃ মাশরুম আর সবজি দিয়ে রাইস সাথে ঘোল জাতীয় কিছু)

(নামটা ভুলে গেছি, কিন্তু অনেক সুরেলা সুর ওঠে বাদ্যযন্ত্রটার, আমরাও বাজালাম এক সময়)

(ক্লাসে বাচ্চারা আমাদের সাথে তাদের প্রিয় শব্দগুলো বলছিল)

(ক্লাশে প্রশ্নপর্ব)

(৯ই ডিসেম্বর, ২০০৮)

Share/Bookmark

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

^ Back to Top